উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান
বিএনপির চাহিত ১১টি ট্রেনের মধ্যে ১০টি স্পেশাল রিজার্ভড ট্রেন দেয়া হয়েছে। এ তথ্য জানিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) রাতে নিজের ফেসবুক আইডিতে দেয়া এক পোস্টে এ তথ্য জানান তিনি।
মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান তার পোস্টে বলেন, বাংলাদেশ রেলওয়েতে লোকমোটিভ ও কোচের তীব্র সংকট রয়েছে। এতদসত্বেও, লন্ডন থেকে আগত তাদের দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সভায় জনসাধারণের যোগদানের সুবিধার্থে, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় ও বিভাগীয় নেতৃবৃন্দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৪ জানুয়ারি তাদের চাহিত ১১টি ট্রেনের মধ্যে ১০টি স্পেশাল রিজার্ভড ট্রেন দেয়া হয়েছে।
এ ছাড়াও ৮টি ট্রেনে ১৭টি অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এর ফলে আমাদের ২টি অপ্রধান লাইনে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে। যাত্রীদের এ বিষয়ে জানিয়ে দেয়া হবে। এছাড়াও স্পেশাল ট্রেনের কারণে নিয়মিত যাত্রীদেরও কিছুটা অসুবিধা হতে পারে।
গণতন্ত্রের অভিযাত্রাকে সুগম করার জন্য বাংলাদেশ রেলের যাত্রীসাধারণ এ সাময়িক অসুবিধা মেনে নেবেন আশা করছি।
প্রচারণায় অংশ নেয়ার পরই হাদিকে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন ফয়সাল। মিশন বাস্তবায়নের জন্য নরসিংদী, সাভার, মানিকগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকায় রেকি করেন তিনি। ১১ ডিসেম্বর মিশন বাস্তবায়নের প্রস্তুতিতে ওঠেন পশ্চিম আগারগাঁওয়ে বোনের বাসায়। হামলার দিন ভোরে উবারে করে যান হেমায়েতপুরের গ্রিন জোন রিসোর্টে।
রিসোর্টের সিসিটিভি ফুটেজে দেখা যায়, শুক্রবার ভোর ৫টা ২২ মিনিটে ফয়সাল ও আলমগীরের গাড়ি হেমায়েতপুরের গ্রিন জোন রিসোর্টে প্রবেশ করে। সেখানে আগে থেকেই ছিলেন ফয়সালের বান্ধবী মারিয়া ও তার বোন। সেখানে হাদির একটি ভিডিও দেখিয়ে ফয়সাল বলেন, তিনি হাদির মাথায় গুলি করার পরিকল্পনা করছেন। এতে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হবে। তিনি ঘটনার পর সব ধরনের যোগাযোগ বন্ধ রাখার কথা বলেন বান্ধবীকে।
সকাল ৮টা ৫৪ মিনিটে বান্ধবীকে নিয়ে রিসোর্ট থেকে বের হন ফয়সাল। বাইরে অপেক্ষায় ছিলেন আলমগীর। উবারে করে বান্ধবীকে বাড্ডায় নামিয়ে দেয়ার পর ১১টা ৫ মিনিটে আগারগাঁওয়ের বাসা থেকে মোটরসাইকেলে বের হয়ে সরাসরি যান হাদির সেগুনবাগিচার প্রচারণায়। সকাল পৌনে ১২টার দিকে সেখানে পৌঁছান ফয়সাল।
প্রচারণা শেষে দুপুর ১২টা ২২ মিনিটে হাদি মতিঝিলের উদ্দেশ্যে রওনা হলে শুটার পেছন থেকে তার অটোরিকশা অনুসরণ করতে থাকেন। দুপুর ১২টা ৫০ মিনিটে হাদিকে বহন করা অটোরিকশা মতিঝিলের জামিয়া দারুল উলুম মসজিদের সামনে পৌঁছায়। আলমগীর মোটরসাইকেল পার্ক করলে দুজন নেমে আবারও প্রচারণায় যুক্ত হন।
নামাজ শেষে দুপুর ২টা ১৬ মিনিটে হাদি সেখান থেকে রওনা হলে শুটারাও পিছু নেয়। দৈনিক বাংলা মোড়ে ডান দিকে ঘুরে পল্টনের বক্স কালভার্ট সড়কে ঢুকে পড়ে তারা। প্রায় আড়াই ঘণ্টা ফাঁকা জায়গা খুঁজে বেড়ানোর পর দুপুর ২টা ২৪ মিনিটে খুব কাছ থেকে হাদিকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে ফয়সাল।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাদিকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নেয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৮ ডিসেম্বর ওসমান হাদির মৃত্যু হয়। পরে তাকে দেশে এনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রিয় মসজিদের পাশে (জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের সমাধির পাশে) দাফন করা হয়।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































