Apan Desh | আপন দেশ

লাখ মানুষের অংশগ্রহণে স্মরণীয় জানাজা হাদির

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯:০২, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৯:৪৬, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

লাখ মানুষের অংশগ্রহণে স্মরণীয় জানাজা হাদির

সংগৃহীত ছবি

কয়েক লাখ মানুষের অংশগ্রহণে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। জানাজায় অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, এটাই স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জানাজা।

৬৫ বছর বয়সী ধানমন্ডির বাসিন্দা ছিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমার জীবনে অনেক জানাজায় অংশ নিয়েছি। কিন্তু এত বড় জানাজা দেখিনি। শহীদ হাদি স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতীক হয়ে উঠেছেন। এ কারণে এত মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছেন।

শহীদ হাদির জানাজায় অংশগ্রহণের জন্য শনিবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই হাজার হাজার মানুষের মিছিল ছিল মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর দিকে। রাজধানীর সব পথ যেন এসে মিলে যায় এক মোহনায়।

দুপুর ১টার মধ্যে জাতীয় সংসদের দক্ষিণ প্লাজার দুটি বড় মাঠ মানুষে মানুষে পরিপূর্ণ হয়ে যায়। মানুষের ভিড় মানিক মিয়া অ্যাভিনিউর বিশাল রাজপথ ছাপিয়ে ফার্মগেটের খামারবাড়ি ও আসাদগেট পর্যন্ত চলে যায়। উত্তর দিকে চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পর্যন্তও ছিল মানুষ আর মানুষ।

দুপুর আড়াইটায় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় শহীদ ওসমান হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার বড় ভাই জানাজায় ইমামতি করেন।

জানাজায় অংশ নিতে মিরপুর-১ থেকে আসা মাসুদ রানা নামে একজন বলেন, আমার ৪২ বছরের জীবনে এত বড় জানাজা দেখিনি। আমার ধারণা ৭ থেকে ৮ লাখ মানুষ জানাজায় অংশ নিয়েছেন।

মোহাম্মদপুরের বাসিন্দা আকিব হাসান বলেন, হাদি ভাইয়ের জানাজায় কত লাখ মানুষ হয়েছে বলতে পারব না। তবে এত মানুষ জীবনেও দেখিনি। সেগুনবাগিচার বাসিন্দা সালাউদ্দিন বলেন, আমার ধারণা জানাজায় ৬ থেকে ৭ লাখ মানুষ হয়েছে।

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ সব রাজনৈতিক দলের নেতারা জানাজায় অংশগ্রহণ করেন। জানাজার আগে শহীদ ওসমান হাদির ভাই যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন তখন লাখ লাখ মানুষ ছিলেন অশ্রুসিক্ত।

গত ১২ ডিসেম্বর দুপুরে রাজধানীর পুরানা পল্টনের বক্স-কালভার্ট রোডে রিকশায় থাকা হা‌দির মাথায় গুলি করে মোটরসাইকেলে আসা এক সন্ত্রাসী। ৬ দিন পর গত বৃহস্পতিবার সিঙ্গাপুরের একটি হাসপাতালে মারা যান তিনি। শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় বিমান বাংলাদেশের একটি ফ্লাইটে সিঙ্গাপুর থেকে শহীদ ওসমান হাদির মরদেহ দেশে আনা হয়।

ওসমান হাদি জুলাই গণঅভ্যুত্থানের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। তিনি ইনসাফভিত্তিক রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে শুরু করেন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আন্দোলন ‘ইনকিলাব মঞ্চ’। প্রতিষ্ঠা করেন ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার। তিনি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছিলেন।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়