ছবি: আপন দেশ
জুলাইয়ের ছাত্র–গণঅভ্যুত্থানকে সামনে রেখে নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের নামে কেউ যেন এ আন্দোলনের চেতনা নিজের বলে দাবি করার চেষ্টা না করে। যারা এ গণঅভ্যুত্থানকে কেন্দ্র করে চেতনার ব্যবসা করতে চাইবে, তাদের জন্য পরিণতি মোটেই শুভ হবে না বলে—এ বিষয়ে সতর্ক করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
শনিবার (২২ নভেম্বর) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের আয়োজিত এক সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমদের বলেন, দীর্ঘদিনের আন্দোলন–সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ২০২৪ সালের ছাত্র–গণঅভ্যুত্থান গড়ে উঠেছে। এটি ৩৬ দিনের আন্দোলনের ফসল নয়, বরং বহু বছরের লড়াইয়ের ফল।
আরও পড়ুন<<>>‘জামায়াত ফ্যাসিবাদ বিরোধী দৃশ্যমান কিছু করেনি’
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকেই গত বছরের ৫ আগস্টের গণঅভ্যুত্থান শুরু হয়। যার মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের দেড় দশকের শাসনের অবসান ঘটে। ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার দলের বহু নেতা দেশ ছেড়ে ভারতে বা অন্যান্য দেশে আশ্রয় নিয়েছেন, বাকিরা আত্মগোপনে আছেন।
অভ্যুত্থানের পরপরই বহু নতুন রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করে। গত ফেব্রুয়ারিতে ছাত্র আন্দোলনের নেতাদের উদ্যোগে জাতীয় নাগরিক পার্টি–এনসিপিও গঠিত হয়।
আওয়ামী লীগের দীর্ঘদিনের আন্দোলন–বিরোধী অবস্থানের কথা স্মরণ করিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, যেমনভাবে তারা ৭১–এর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে একচেটিয়া করার চেষ্টা করে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তেমনভাবে জুলাই–আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের চেতনার ওপর কেউ ঠিকাদারি করতে চাইলে তারাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তার মতে, ছাত্র–গণঅভ্যুত্থানের চেতনা ও ইতিহাস দেশের সকল গণতন্ত্রকামী মানুষের যৌথ সম্পদ।
আওয়ামী লীগ রাজনীতি সবসময়ই মিথ্যা ও একদলীয় মনোভাব উল্লেখ করে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রবিরোধী অবস্থানের ওপর দাঁড়িয়ে ছিলো। তিনি বলেন, ২০২৪ সালের গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী বাকশালী ফ্যাসিস্ট শক্তি’কে সরানো সম্ভব হলেও তাদের মাফিয়া প্রভাব এখনও নির্মূল হয়নি।
শেখ হাসিনার ভারতে অবস্থান নেয়াকেই তিনি প্রমাণ হিসেবে উল্লেখ করেন যে আওয়ামী লীগ আসলে বাংলাদেশের স্বাভাবিক রাজনৈতিক শক্তি ছিল না; বরং ভারতের সহায়তায় দেশের রাজনীতিকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করে যাচ্ছে।
সমাবেশে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত তারেক রহমানকে মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্মের এক নম্বর সদস্য এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোকে দ্বিতীয় সদস্য হিসেবে ঘোষণা দেন। অনুষ্ঠানে আব্দুস সালাম, জয়নুল আবদিন ফারুক ও ইশরাক হোসেনসহ বিএনপির অন্যান্য নেতারাও উপস্থিত ছিলেন।
আপন দেশ/এসআর
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।





































