
বৈঠক শেষে জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের সঙ্গে ফটোসেশনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে বিএনপি ও কয়েকজন উপদেষ্টা নিয়ে তীব্র সমালোচনা করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। দলটি অভিযোগ করেছে, কিছু উপদেষ্টা প্রধান উপদেষ্টাকে বিভ্রান্ত করছেন ও একটি দলের পক্ষে কাজ করছেন। তবে কাদের কাদের নিয়ে এ আপত্তি, তাদের নাম প্রকাশ করেনি দলটি।
বুধবার (২২ অক্টোবর) সন্ধ্যায় রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠক শেষে জামায়াতের নায়েবে আমীর সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গণভোটে রাজি হলেও এখন এটি নিয়ে বিএনপি জটিলতা তৈরির চেষ্টা করছে। তারা নভেম্বরের শেষ দিকে, অর্থাৎ জাতীয় নির্বাচনের আগেই গণভোট আয়োজনের দাবি জানিয়েছে। গণভোট ও জাতীয় নির্বাচন এক বিষয় নয়। নির্বাচন কমিশিন, সচিবালয় ও পুলিশ প্রশাসনে প্রায় ৭০ থেকে ৮০ ভাগ কর্মকর্তা একটি দলের অনুগত।
আরও পড়ুন>>>‘জুলাই সনদ বাস্তবায়ন কীভাবে, নিশ্চয়তা পেলেই স্বাক্ষর’
সৈয়দ আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, একটি আদেশের মাধ্যমে জুলাই সনদের সাংবিধানিক মর্যাদা দিতে হবে। এটি সংবিধান নয়, একটা এক্সট্রা কনস্টিটিউশনাল অ্যারেঞ্জমেন্ট যেটা কোনো সরকার এরকম পরিস্থিতিতে পড়লে দেয়ার এখতিয়ার রাখে। এ বিষয়ে উনি (প্রধান উপদেষ্টা) আমাদের সঙ্গে একমত হয়েছেন।
জামায়াতের এ নেতা আরও বলেন, যারা উপদেষ্টা তাদের ব্যাপারে বলেছি, সকলের ব্যাপারে নয়। আমরা বলেছি, কিছু কিছু লোক আপনাকে (প্রধান উপদেষ্টা) বিভ্রান্ত করে। আপনার প্রতি আমাদের আস্থা আছে। কিন্তু আপনার কিছু লোক আপনার পাশে আপনাকে বিভ্রান্ত করে ও ওরা কোনো একটা দলের পক্ষে কাজ করে আমরা মনে করি। তাদেরকে, তাদের ব্যাপারে আপনাকে হুঁশিয়ার থাকা দরকার।
বৈঠকে কোনো উপদেষ্টার অপসারণের দাবি তুলেছেন কি-না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে আব্দুল্লাহ মুহাম্মদ তাহের বলেন, আমরা প্রথম দিন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি... আমরা প্রথমদিন যাইয়াই অপসারণ চাইনি। আমরা বলছি, আমরা এখন দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। আমরা সময় দিচ্ছি। আপনাকেও শুনতে দিচ্ছি। যদি না হয় তাহলে আমরা যা যা করার, সেগুলোর ব্যাপারে আমরা চিন্তা করব।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো দাবি তোলা হয়নি জানিয়ে তিনি বলেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ব্যাপারে এখনও সুপ্রিম কোর্টে শুনানি হচ্ছে। তার দল সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অপেক্ষায় আছে। সুপ্রিম কোর্টের রায়ে কোনো ব্যত্যয় না হলে অন্তর্বর্তী সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।
জামায়াতে ইসলামীর দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা কী বলেছেন, এমন প্রশ্নে জামায়াতে ইসলামীর এ নেতা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা বলছেন যে উনি এগুলো নিয়ে গভীরভাবে চিন্তাভাবনা করছেন। যেটা করতে হবে, সেটি উনি করবেন, ইনশা আল্লাহ।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।