
ছবি: সংগৃহীত
প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসের আগমনকে ঘিরে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে। তাকে স্বাগত জানানো এবং প্রতিবাদ জানানোর জন্য সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) জেএফকে বিমানবন্দরে বিএনপি এবং আওয়ামী লীগ ও সমমনা সংগঠনের নেতাকর্মীরা মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছে।
এর আগে, রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় জ্যাকসন হাইটসের ড্রাইভ সিটি প্লাজায় দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে, যা পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে নিয়ন্ত্রণে আসে।
ড. ইউনূসকে স্বাগত জানাতে যুক্তরাষ্ট্র বিএনপি এবং তার সমমনা সংগঠনগুলো ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে। একই সময়ে, যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলো তার বিরুদ্ধে ‘যেখানে ইউনূস-সেখানেই প্রতিরোধ’ শীর্ষক তুমুল বিক্ষোভ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
এ কারণে জেএফকে বিমানবন্দরে সম্ভাব্য বড় ধরনের অঘটনের আশঙ্কায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এ কর্মসূচিতে যোগ দিতে ক্যালিফোর্নিয়া, ফ্লোরিডা, জর্জিয়া, মিশিগান, শিকাগো, বস্টন, পেনসিলভানিয়া, ভার্জিনিয়া, ম্যারিল্যান্ড, নিউজার্সি এবং কানেকটিকাট থেকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সমর্থকরা নিউইয়র্কে জড়ো হয়েছেন।
আরও পড়ুন<<>>চার রাজনীতিবিদ নিয়ে নিউইয়র্কের পথে প্রধান উপদেষ্টা
যুক্তরাষ্ট্র আওয়ামী লীগের সভাপতি ড. সিদ্দিকুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক সামাদ আজাদ জানিয়েছেন, তারা বিভিন্ন গ্রুপে বিভক্ত হয়ে শান্তিপূর্ণভাবে তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করবেন।
আওয়ামী লীগ তাদের প্রতিবাদ কর্মসূচির অংশ হিসেবে প্রতিদিন ড. ইউনূস যে হোটেলে অবস্থান করবেন, তার সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন এবং কালো পতাকা প্রদর্শন করার ঘোষণা দিয়েছে। এছাড়াও, আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘে ড. ইউনূসের ভাষণের সময়ও বাইরে কালো পতাকা প্রদর্শন ও বিক্ষোভের পরিকল্পনা রয়েছে তাদের। অন্যদিকে বিএনপি ড. ইউনূস ছাড়াও মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে।
এ পাল্টাপাল্টি কর্মসূচির কারণে নিউইয়র্কের বাংলাদেশ কমিউনিটিতে এক ধরনের থমথমে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে এবং সবাই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।