
ফাইল ছবি
নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ। তারা জাতীয় সনদের ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, উভয় কক্ষে পিআর পদ্ধতি, জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের কার্যক্রম বন্ধসহ ৫ দফা দাবিতে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছে।
আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর ঢাকায় বিক্ষোভ ও সমাবেশ করবে দলটি।
সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির নায়েবে আমীর ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের।
সমমনা আরও কয়েকটি দল এরইমধ্যে প্রায় একই ধরনের দাবি নিয়ে কর্মসূচি দিয়েছে। এ প্রসঙ্গে তাহের বলেন, যেহেতু দাবি এক, প্রত্যেকেই তার নিজের মতো করে কর্মসূচি পালন করবে। এখনো এটি যুগপৎ বলছি না।
একতরফাভাবে ইসির রোডম্যাপ ঘোষণা করা অন্যায় হয়েছে উল্লেখ করে ডা. তাহের বলেন, কালো টাকার ব্যবহার, পেশিশক্তিসহ নির্বাচনী অনিয়ম বন্ধে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। আমরা লক্ষ্য করছি, মানুষের দাবিকে গুরুত্ব দেয়া হচ্ছে না, তাই গণআন্দোলনের বিকল্প নেই।
আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবো না, একথা কখনো বলছি না। বরং আমরা বলছি, আমাদের দাবি মেনে নির্বাচন আয়োজনের জন্য। আমরা জুলাই সনদের আইনি ভিত্তির ভিত্তিতে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দাবি জানাচ্ছি।
তাহের বলেন, অন্য দলের দাবি যৌক্তিক হলে সেটা মানতে বলবো। আমাদেরটা যৌক্তিক হলে আমাদেরটা মানতে বলবো। যুক্তিই ঠিক করবে কোনটা যৌক্তিক। পিআরে ভোট দিতে কোনো জটিলতা নেই, বিদ্যমান পদ্ধতির মতোই। কিন্তু জনগণের মধ্যে পদ্ধতিগত জটিলতা থাকবে না। নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে বলে মনে করেন না তাহের। তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির আগে আরো ৫ মাস আছে, এর মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ সম্ভব।
আরও পড়ুন>>>>‘যুবসমাজকে কেউ দমিয়ে রাখতে পারে না’
নির্বাচন পেছাতেই জামায়াত বিভিন্ন দাবি তুলছে, বিভিন্ন দলের এমন বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এটা তাদের জিজ্ঞাস করেন, কী প্রমাণ আছে আমরা নির্বাচন পেছাতে চাচ্ছি।
সংসদের উচ্চকক্ষে পিআর পদ্ধতি বাস্তবায়ন ও জুলাই সনদ কার্যকরের দাবিসহ পাঁচ দফা দাবিতে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস। একইদিন ঢাকায় বিক্ষোভ মিছিল করবে দলটি। এরপর ১৯ ও ২৬ সেপ্টেম্বর সারাদেশে ধারাবাহিক বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে খেলাফত মজলিস।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর পুরান পল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন দলটির আমির মাওলানা মামুনুল হক।
অন্যান্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে- জাতীয় পার্টি ও ১৪ দলের রাজনীতি নিষিদ্ধকরণ, আসন্ন নির্বাচনে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করা এবং জুলাই গণহত্যার বিচার দৃশ্যমান করা।
সংবাদ সম্মেলনে মামুনুল হক বলেন, জুলাই ঘোষণাপত্রের মতো জুলাই সনদকেও কাগুজে ও অকার্যকর করে ফেলা যাবে না। এ সময় দাবি আদায়ে যুগপৎ আন্দোলনের বিষয়ে জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, এবি পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, এনসিপি, নেজামী ইসলামী পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলেও জানান তিনি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।