Apan Desh | আপন দেশ

বিদ্রোহী কবির পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিপ্লবী ওসমান হাদি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৬:১৮, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১৭:১১, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫

বিদ্রোহী কবির পাশেই চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিপ্লবী ওসমান হাদি

ছবি: আপন দেশ

বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে দাফন করা হয়েছে জুলাই বিপ্লবের অন্যতম বীর শহীদ শরীফ ওসমান হাদিকে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদ প্রাঙ্গণে তাকে দাফন করা হয়।

এ সময় তার সহকর্মীরা অশ্রুসিক্ত হয়ে পড়েন। শপথ নেন হাদির স্বপ্ন পূরণ না হওয়া পর্যন্ত লড়াই অব্যাহত রাখবেন। তারা বলেন, লাখো মানুষের ভালোবাসা প্রমাণ করে জীবিত হাদির চেয়ে শহিদ হাদি অনেক শক্তিশালী।

আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমান বলেন, আজকে আমি সাধারণ মানুষের সঙ্গে হাদির জানাজা পড়েছি। আমাকে আজকে প্রধান উপদেষ্টা ডেকেছেন, আমি যাইনি। আল্লাহ হাদিকে শাহাদাতের জজবা হিসেবে কবুল করে নিয়েছেন। ভারতীয় আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত তৃতীয় শহীদ হিসেবে আল্লাহ কবুল করেছেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদি ইতিহাসের অংশ হয়ে গেছে। দেশের জন্য তার যে ত্যাগ আল্লাহ তা কবুল করুক।

তিনি বলেন, তার পরিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্প্রসারিত পরিবারের অংশ। আমরা তার চূড়ান্তভাবে সম্মান জানাতে আমাদের এ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের পাশে কবরস্থ করা হয়েছে। আমরা মনে করি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় তার সন্তানকে বুকে নিয়েছে। মা তার ছেলেকে বা বিশ্ববিদ্যালয় তাকে গ্রহণ করেছে।

বক্তব্য শেষে দোয়া পরিচালনা করেন হাদির বড় ভাই।

এ সময়, হাদীর পরিবারের লোকজন এবং আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা, জাতীয় নাগরিক পার্টির সদস্য সচিব আখতার হোসেন ও অন্যান্য নেতারা, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা, ডাকসু নেতারা ও ইনকিলাব মঞ্চের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বড় ভাই আবু বকর সিদ্দিকের ইমামতিতে হাদির জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাসহ লাখো মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

জানাজা শেষে কফিনবাহী অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে মিছিল নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদ পর্যন্ত আসেন তার অনুসারীরা।

এ সময় গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিবর্গ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকবৃন্দ, বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

দাফন ঘিরে বিশ্ববিদ্যালয়ে নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। সাধারণ মানুষের প্রবেশে দেয়া হয় নিষেধাজ্ঞা। মোতায়েন করা হয় শতাধিক পুলিশ, বিজিবি ও র‍্যাব। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিরাপত্তা বেষ্টনী তৈরি করে রাখতে দেখা যায়।

আপন দেশ/এমবি
 

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়