ছবি: আপন দেশ
বোরো মৌসুমের মতো আমন মৌসুমেও ধান চাল সংগ্রহে লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে চায় সরকার। খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, পরবর্তী সরকারের জন্য আমরা একটি সহনশীল পরিস্থিতি রেখে যাব। যেখানে খাদ্যশস্যের মজুতও অনেক বেশি থাকবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের আগে আমাদের লক্ষ্যমাত্রার প্রায় সবটুকু সংগ্রহ করার জন্য চেষ্টা করব।
বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বিকেলে সচিবালয়ে খাদ্য মন্ত্রণালয়ে নিজ দফতরে আমন মৌসুমে ধান চাল সংগ্রহ অভিযান উদ্বোধন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, এবছর ধান কেনা হবে প্রতি কেজি ৩৪ টাকা করে, সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি এবং আতপ চাল ৪৯ টাকা কেজি।
ধান এবং দুই ধরনের চাল মিলিয়ে মোট ৭ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হবে। এর মধ্যে সিদ্ধ চাল ৬ লাখ মেট্রিক টন, আতপ চাল ৫০ হাজার মেট্রিক টন এবং ধান ৫০ হাজার মেট্রিক টন সব মিলিয়ে ৭ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহ করা হবে।
খাদ্য উপদেষ্টা জানান, এরমধ্যে বেশ কিছু চুক্তি হয়ে গেছে আজ থেকে সংগ্রহ শুরু হবে। এদিন থেকে শুরু হয়ে ২০২৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও নির্বাচনের কারণে এ সময়ের আগেই সংগ্রহ করার চেষ্টা থাকবে।
উপদেষ্টা বলেন, আমরা আশা করছি যে টার্গেট দেয়া হয়েছে সেটা আমরা পূরণ করতে পারব। এর মধ্যে যে আমরা ৫০ হাজার টন ধান, ৬ লাখ টন সিদ্ধ চাল আর ৫০ হাজার টন আতপ চালের যে টার্গেটটা কিন্তু মিনিমাম। তবে আমরা বলেছি টার্গেটটা ম্যাক্সিমাম যে যত করতে পারে তত ভালো। অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে আমাদের টাকার কোনো অভাব হবে না। এজন্যে আমরা যত বেশি সংগ্রহ করতে পারবো তত বেশি বিদেশ থেকে আমদানি নির্ভরতা কমাতে পারব।
আজ থেকে ধান চালের যে সংগ্রহ চলছে কিন্তু দেখা যাচ্ছে এর মধ্যে আবার আমদানিও হচ্ছে, আমাদের যে উৎপাদন হচ্ছে সেটা কি তাহলে পর্যাপ্ত না এমন প্রশ্নের জবাবে খাদ্য উপদেষ্টা বলেন, আমরা পিএফডি যেটা আছে পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেমের বিতরণের জন্য আমরা একটা মজুদ গড়ে তুলি। সে মজুদটা যাতে সন্তোষজনক পর্যায়ে থাকে এবং যাতে একটা নিরাপদ মজুদ থাকে। এজন্য আমরা সবসময় সক্রিয় ও সচেতন থাকি। তার জন্য আমাদের কিছু পরিমাণ আমদানি করতে হয়। আর আমরা সংগ্রহ করতে হয়। এবছর বোরতে আমরা রেকর্ড পরিমাণ সংগ্রহ করেছি৷
আলী ইমাম মজুমদার বলেন, আপনারা জানেন আর যেহেতু আমাদের পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম ক্রমান্বয় সম্প্রসারিত হয়েছে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আসার পরেও আমরা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি বলতে যেটা বলা হয় সবচেয়ে বড় কর্মসূচি। যেটা আমাদের আগে পাঁচ মাস ১৫ টাকা কেজি দরে ৩০ কেজি করে চাল ৫০ লাখ পরিবারকে দেয়া হতো। আমরা এটাকে বাড়িয়ে ছয় মাস করেছি। একই সঙ্গে উপকারভোগির সংখ্যা ৫০ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৫৫ লাখে উন্নত করেছি। আমাদের বিশ্বাস এগুলির মাধ্যমে কিন্তু চালের দাম বাজারে দীর্ঘদিন পর্যন্ত স্থিতিশীল আছে।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।





































