
ছবি: আপন দেশ
দফায় দফায় হামলা, ভাংচুর, অগ্নিসংযোগ, পাল্টা হামলার ঘটনায় আলোচনায় এখন জাতীয় পার্টি। নাশকতার আশঙ্কায় এবার রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ের সামনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে। একই সঙ্গে রমনা থানা পুলিশেও একটি দলও। জাপার নেতাকর্মীরাও আশপাশে অবস্থান করছেন। সন্ধ্যা ৭টায় এ খবর লেখা পর্যন্ত পরিস্থিতি বেশ থমথমে।
গত মধ্যরাতে এনসিপি ও বিএনপি নেতাদের ডেকেছিলেন রংপুরের সেনাবাহিনী।
গত ৫ আগষ্টের পর থেকেই আওয়ামী লীগের শরিক জাতীয় পার্টিকে দোসর আখ্যা দিয়ে আসছে গণঅধিকার পরিষদ ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। দলটিকে নিষিদ্ধের দাবি তুলে আসছিল গণঅধিকার পরিষদ। ৫ আগষ্টের পর থেকে জাপার কেন্দ্রীয় ও রংপুরে তিন দফায় হামলার ঘটনাও ঘটেছে। সর্বশেষ বৃহস্পতিবার রংপুরে দলটির চেয়ারম্যানের বাস ভবনেও হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন <<>> মবের নামে নাশকতার সুযোগ নেই, সারজিসকে সেনা কর্মকর্তা
এদিকে শনিবার (৩১ মে) বরিশালে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটেছে। এ হামলার জন্য দায়ী করা হয়েছে জাতীয় পার্টিকে। ওই পার্টিকে নিষিদ্ধ এবং দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে রোববার (০১ জুন) সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে গণঅধিকার পরিষদ।
বরিশালের ঘটনায় ১৫ জন গণঅধিকারের নেতাকর্মী আহত হয়। এ নিয়ে জিএম কাদের সহ দুই শতাধিক নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। মামলাটি করে গণঅধিকার পরিষদ।
গণঅধিকার পরিষদের বিক্ষোভ মিছিলচি শুরু হয় রাজধানীর বিজয়নগর থেকে। মিছিলটি পল্টন হয়ে জাতীয় পার্টির কাকরাইলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে পৌঁছে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা জাপার কার্যালয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তারা প্রায় ২০ মিনিট বিভিন্ন স্লোগান দেয়। জাতীয় পার্টি ও পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরসহ অন্যান্য নেতাদের বিরুদ্ধে।
এদিকে গণধিকার পরিষদের অবস্থানের পরে জাপা কার্যালয় থেকে দৌড়ে পালান দলটির উপস্থিত নেতৃবৃন্দ। স্লোগানের পর জাপা কার্যালয় ত্যাগ করে গণঅধিকার পরিষদ।
আরও পড়ুন<<>> সারা দেশে জাপার বিক্ষোভ মিছিল
সন্ধ্যা ছয়টার দিকে ৪ প্লাটুন সেনা সদস্য আসে জাপা কার্যালযয়ের সামনে। স্থানীয় থানা পুলিশও অবস্থান নেয়। বর্তমানে কার্যালয়টির আশপাশে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রংপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময় করছিলেন জাপার চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এ খবরে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরবঙ্গের মুখ্য সংগঠক সার্ভিস আলম তার ফেসবুক পেজে পোস্ট দেন। তাতে তিনি লিখেন ‘আওয়ামী লীগের দোসর জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদের এখনো বাইরে কেন?
এ পোস্টের ক’ঘন্টা মধ্যেই রংপুরের স্থানীয় এনসিপি নেতাকর্মী ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা জাপার প্রয়াত চেয়ারম্যান এইচএম এরশাদের স্কাই ভিউ ভবনে হামলা করে। খবর পেয়ে স্থানীয় জনতা স্কাইভিউ এর দিকে আসতে থাকলে হামলাকারীরা চলে যায়। এ খবরে সেনাবাহিনীও ওই ভবনের সামনে আসে।
পরদিন শুক্রবার (৩০ মে) রাজধানীর কাকরাইলে প্রতিবাদ- বিক্ষোভ মিছিল করে জাতীয় পার্টি। ওই প্রতিবাদ সমাবেশ থেকেই পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু সারা দেশে প্রতিবাদ সমাবেশের ঘোষণা দেন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।