Apan Desh | আপন দেশ

বিয়ের আগে যেসব বিষয়ে আলোচনা করে নেবেন

লাইফস্টাইল ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫:৩২, ১৫ মে ২০২৪

বিয়ের আগে যেসব বিষয়ে আলোচনা করে নেবেন

ছবি: সংগৃহীত

বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে সাহসী হওয়া প্রয়োজন। সেইসঙ্গে বিচক্ষণ হওয়াও। কারণ, একজন মানুষের সঙ্গে সারাজীবন কাটাতে গেলে অনেকগুলো দিক মানিয়ে বা মেনে নিয়ে চলতে হয়। তাই দাম্পত্যের মতো সুন্দর যাত্রা শুরু করার আগে জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে হবু সঙ্গীর সঙ্গে আলোচনা করে নেয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এতে একে অপরের আশা, স্বপ্ন এবং প্রত্যাশা সম্পর্কে জানতে পারবেন। একটি সুখী ও মজবুত সম্পর্ক গড়ে তুলতেও সাহায্য করবে।

সেইসঙ্গে আপনার মানসিক এবং শারীরিক চাহিদা, প্রেমের ভাষা, সাংস্কৃতিক এবং ধর্মীয় ঐতিহ্য নিয়েও আলোচনা করা সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ। চলুন এমন আরও পাঁচটি বিষয় সম্পর্কে জেনে নেয়া যাক-

পারস্পরিক যোগাযোগ

যেহেতু দুজন মানুষ বিয়ের পর সারাজীবন একসঙ্গে থাকার প্রতিজ্ঞা করছেন, তাই পারস্পরিক যোগাযোগের ধরন যাচাই করে নেয়া গুরুত্বপূর্ণ। দ্বন্দ্ব, মতবিরোধ এবং তর্কের সময়ে আপনি কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানান, তা তাকে জানানোও গুরুত্বপূর্ণ। বোঝাপড়া, সহানুভূতি এবং পারস্পরিক শ্রদ্ধা বাড়াতে কার্যকর যোগাযোগের কৌশল, অভ্যাস নিয়ে আলোচনা করা অপরিহার্য। হবু সঙ্গীর সঙ্গে খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে অনেক বিষয়ই বুঝতে পারা সহজ হবে।

সম্পর্কের প্রত্যাশা

কথা বলার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো- আপনি দুজনের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে কী আশা করেন তা জানানো। আপনার আবেগ এবং বিয়ে নিয়ে পরিকল্পনাও এর অংশ হতে পারে। বিয়ে, প্রতিশ্রুতি ও আপনারা কীভাবে কোয়ালিটি টাইম কাটাতে চান, তা নিয়েও আলোচনা করা অপরিহার্য। খোলাখুলিভাবে আপনার চিন্তা প্রকাশ করতে ভুলবেন না। একে অপরের অনুভূতি এবং দৃষ্টিভঙ্গি মনোযোগ দিয়ে শুনুন। এ কথোপকথন একটি শক্তিশালী ও সুখী সম্পর্ক গড়ে তুলতে অবদান রাখবে।

পার্সোনাল স্পেস

দাম্পত্য জীবনেও পার্সোনাল স্পেস বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। পারস্পরিক সুখী এবং পরিপূর্ণ সম্পর্ক অর্জনের জন্য এটি অত্যন্ত জরুরি। নিজের মতো করে কিছুটা সময় একা কাটানোর জন্য পরবর্তীতে যেন পরস্পরকে দোষারোপ করা না হয়, তাই আগেই কথা বলে নিন। যদি এক্ষেত্রে একে অপরের সঙ্গে পছন্দ বা ব্যক্তিত্ব না মেলে তাহলে বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগেই পুনরায় ভেবে দেখার সুযোগ থেকে যাবে।

আর্থিক অবস্থা

বিয়ের আগে হবু সঙ্গীর সঙ্গে আপনার আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে খোলামেলা ও স্বচ্ছ আলোচনা হওয়া জরুরি। আপনার আয়, ঋণ, সঞ্চয় এবং ব্যয় করার অভ্যাস সম্পর্কে সৎভাবে আলোচনা করা গুরুত্বপূর্ণ। দম্পতি হিসেবে আপনি কীভাবে যৌথ ব্যয় ও আর্থিক বিষয়গুলো পরিচালনা করবেন তাসহ দীর্ঘমেয়াদী বাজেট, আর্থিক পরিকল্পনা সম্পর্কে কথা বলুন। এতে একে অপরের আর্থিক পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতন ও একসঙ্গে ভবিষ্যতের জন্য কার্যকর পরিকল্পনা করার সুযোগ পাবেন।

পরিবার পরিকল্পনা

বিয়ে করার আগে পরিবার শুরুর বিষয়ে একে অপরের মতামত বোঝা অপরিহার্য। এর মধ্যে রয়েছে পছন্দসই সন্তানের সংখ্যা, কখন আপনি অভিভাবক হতে চান এবং আপনার পছন্দের অভিভাবকত্ব শৈলী নিয়ে আলোচনা করা। নিজেদের কর্মজীবন ও পারিবারিক জীবনের ভারসাম্য বজায় রাখা নিয়ে কথা বলাও গুরুত্বপূর্ণ।

আপন দেশ/এসএমএ

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়