
ফাইল ছবি
রাজধানীর আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় কোরবানির পশুর হাট সংক্রান্ত ইজারা বিজ্ঞপ্তির কার্যক্রম স্থগিত করেছেন হাইকোর্ট। আদালতের আদেশ অনুযায়ী এ বছর সেখানে গরুর হাট বসছে না। রোববার (৪ মে) বিচারপতি কাজী জিনাত হক ও বিচারপতি আইনুন নাহার সিদ্দিকার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউনূস আলী আকন্দ। তিনি জানান, গত ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) আফতাবনগর আবাসিক এলাকায় পশুর হাট বসানোর জন্য ইজারা বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। অথচ এর আগে এ সংক্রান্ত একটি রুল হাইকোর্টে বিচারাধীন রয়েছে।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তার সই করা এক ইজারা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে অস্থায়ী পশুর হাটের জন্য দরপত্র আহবান করা হয়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এলাকা আফতাব নগর আবাসিক বসতি হওয়ায় পশুর হাটের ইজারা বাতিল চেয়ে রিট করেন আইনজীবী ইউনূস আলী আকন্দ। এর আগেও দুই বছর আফতাবনগর পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছে হাইকোর্ট।
রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, আফতাবনগর একটি পরিকল্পিত আবাসিক এলাকা, যেটি রাজউকের অনুমোদিত। এখানে বিচারপতি, পেশাজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণির মানুষ বসবাস করেন। প্রায় সাত হাজার প্লট নিয়ে গঠিত এ এলাকায় বহুতল ভবন ও পরিবারসমূহের বাস রয়েছে। এমন একটি ঘনবসতিপূর্ণ আবাসিক এলাকায় পশুর হাট বসালে জনদুর্ভোগ চরমে পৌঁছাবে।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯-এর ধারা ৩(২) ও প্রথম তফসিল অনুযায়ী আফতাবনগর মূলত ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের অন্তর্ভুক্ত, যা বাড্ডা থানার ৩৭ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত এলাকা। সে হিসেবে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ওই এলাকায় হাট বসানোর এখতিয়ার নেই।
আইনজীবী আরও জানান, ২০২৩ সালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ইজারা বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধেও রিট হয়েছিল। তখন হাইকোর্ট হাট বসানোর ওপর স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন। পরবর্তীতে আপিল বিভাগের অনুমতিতে শুধু এল ব্লকের পরবর্তী অংশে হাট বসানো হয়েছিল, কিন্তু এ থেকে এইচ ব্লক পর্যন্ত হাট বসেনি।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।