Apan Desh | আপন দেশ

শিশুর খাবারে অরুচি হলে কী করবেন?

আপন দেশ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:১৭, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫

শিশুর খাবারে অরুচি হলে কী করবেন?

বাচ্চাকে খাওয়ানোর দৃশ্য: ফাইল ছবি

শিশু খাবার খেতে না চাইলে বেশিরভাগ অভিভাবক দুশ্চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু মনে রাখতে হবে, শিশুর অরুচি অনেক সময়ই সাময়িক এবং স্বাভাবিক। সব অরুচিই রোগ নয়। এ ক্ষেত্রে প্রথম কাজ হলো, কারণ বোঝা এবং তারপর ধীরে ধীরে সঠিক পথে নিয়ে আসা।

শিশুর খাবারে অরুচির সবচেয়ে সাধারণ কারণ হলো—অনিয়মিত খাবারের সময়, অতিরিক্ত নাস্তা, চিপস-চকলেট-কোমল পানীয়ের অভ্যাস, খাবারের সময় মোবাইল বা টিভি দেখা এবং জোর করে খাওয়ানোর অভিজ্ঞতা। এ ছাড়া দাঁত ওঠার সময়, সর্দি-কাশি বা জ্বরের পরে, কৃমি সংক্রমণ, কোষ্ঠকাঠিন্য বা ঘুমের সমস্যাতেও অরুচি দেখা দিতে পারে।

খাবারের সময় নির্দিষ্ট করুন
অরুচি হলে প্রথমেই খাবারের সময় নির্দিষ্ট করতে হবে। দিনে তিন বেলা প্রধান খাবার এবং দুই বেলা হালকা নাস্তার সময় ঠিক করে দিন। এ সময়ের বাইরে খাবার বা জুস দিলে শিশুর ক্ষুধা নষ্ট হয়। 

প্রধান খাবারের আগে টিফিন নয় 
খাবারের আগে টিফিন বা বিস্কুট দিলে মূল খাবার খেতে চাইবে না, এটি খুব সাধারণ কারণ।

শিশুর খাবারের সময় যা বর্জনীয়  
খাবারের সময় পরিবেশ খুব গুরুত্বপূর্ণ। খাওয়ার সময় টিভি, মোবাইল বা কার্টুন বন্ধ রাখতে হবে। শিশু মনোযোগ দিয়ে খাবার খেলে স্বাভাবিকভাবেই তার ক্ষুধা-হজম ঠিক মতো হয়। পরিবারের সবাই একসঙ্গে বসে খেলে শিশু শেখে এবং খাবারের প্রতি আগ্রহ বাড়ে।

আরও পড়ুন<<>>সুস্থতার জন্যে করণীয়

খাবার যখন শাস্তি হয়ে উঠে
জোর করে খাওয়ানো সবচেয়ে বড় ভুল। এতে খাবার শিশুর কাছে শাস্তির মতো মনে হয়। বরং অল্প পরিমাণে পরিবেশন করুন, খেতে না চাইলে জোর করবেন না। কয়েক ঘণ্টা পরে আবার খাবার দিন। ক্ষুধা তৈরি হলে শিশু নিজেই খেতে শুরু করবে।

নাস্তা ও খাবারে বৈচিত্র আনুন
নাস্তার ধরন পরিবর্তন করতে হবে। প্রতিদিন চিপস, বিস্কুট ও কেক দিলে অরুচি বাড়ে। নাস্তার জন্য ফল, দই, সেদ্ধ ডিম, ভাজা ছোলা বা ঘরে তৈরি খাবার দিন। এগুলো পুষ্টিকর, আবার ক্ষুধাও নষ্ট করে না।

শিশুর খাবারে বৈচিত্র্য আনুন। প্রতিদিন একই খাবার দিলে শিশু বিরক্ত হয়ে যায়। একই উপাদান দিয়ে ভিন্নভাবে রান্না করে দিন—আজ ডিম ভাজি, কাল ডিম কারি, পরদিন ডিম খিচুড়ি। খাবার একটু সুন্দরভাবে সাজিয়ে দিলে শিশুর আগ্রহ বাড়ে।

খেলা-ধূলা, দৌড়ঝাঁপ ক্ষুধা বাড়ায়
শিশুর দৈনন্দিন শারীরিক চলাফেরা নিশ্চিত করুন। খেলা-ধূলা, দৌড়ঝাঁপ, বাইরে সময় কাটালে ক্ষুধা স্বাভাবিকভাবেই বাড়ে। সারাদিন ঘরে বসে থাকলে বা স্ক্রিনে সময় কাটালে ক্ষুধা কমে যায়।

কখন চিকিৎসকের পরামর্শ জরুরি
যদি অরুচির সঙ্গে ওজন না বাড়া, খুব দুর্বল হয়ে যাওয়া, বারবার অসুস্থ হওয়া, দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্য বা পেটব্যথা থাকে—তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া জরুরি। প্রয়োজনে কৃমির ওষুধ, আয়রন বা অন্যান্য সমস্যার চিকিৎসা লাগতে পারে।

আপন দেশ/জেডআই

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়