
ছবি : আপন দেশ
বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএমইউ) গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের উদ্যোগে একটি বৈজ্ঞানিক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিএমইউর শহীদ ডা. মিলন হলে ‘প্রিসিশন অনকোলজি ইন ওভারিয়ান ক্যান্সার: মলিকুলার প্রোফাইলিং অ্যান্ড টার্গেটেড থেরাপি’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।
শনিবার (১৮ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে ওভারিয়ান ক্যান্সারে ব্যক্তিকেন্দ্রিক চিকিৎসার সম্ভাবনা এবং মলিকুলার প্রোফাইলিং ও টার্গেটেড থেরাপির বাস্তব প্রয়োগ নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়।
আলোচনায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা বলেন, প্রিসিশন অনকোলজি আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। রোগীর জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণের মাধ্যমে নির্ভুল চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হচ্ছে, যার ফলে চিকিৎসার সাফল্যের হার এবং রোগীর বেঁচে থাকার সম্ভাবনা উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাচ্ছে। টার্গেটেড থেরাপি ও ইমিউনোথেরাপির সংযোজন ইতোমধ্যেই ওভারিয়ান ক্যান্সার চিকিৎসায় নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেছে।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএমইউর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আখতার। তিনি বলেন, প্রিসিশন অনকোলজির মাধ্যমে চিকিৎসা ব্যবস্থায় একটি যুগান্তকারী পরিবর্তন সম্ভব। বাংলাদেশেও এর বাস্তবায়ন সময়ের দাবি।
আরও পড়ুন<<>>মেরুদণ্ডের সমস্যায় আক্রান্তদের ৬০ ভাগ কর্মহীন হয়ে পড়েন
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিএমইউর ক্লিনিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. সৈয়দ মো. আকরাম হোসেন বলেন, টার্গেটেড থেরাপি ও মলিকুলার প্রোফাইলিং আধুনিক ক্যান্সার চিকিৎসার ভবিষ্যৎ। এ বিষয়ে আরও গবেষণা ও প্রশিক্ষণ জরুরি।
সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন গাইনোকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডা. ফাওজিয়া হোসেন। সঞ্চালনা করেন বিএমইউর সহকারী প্রক্টর ডা. রিফাত রহমান।
মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন যুক্তরাষ্ট্রের সিডারস-সিনাই মেডিকেল সেন্টার এবং লস অ্যাঞ্জেলেস শিশু হাসপাতালে (সিএইচএলএ) ক্যান্সার ও রক্তরোগের চিকিৎসা কেন্দ্রের সার্জিক্যাল অনকোলজিস্ট ও পেডিয়াট্রিক সার্জন অধ্যাপক ডা. তাসনিম আরা। তিনি ওভারিয়ান ক্যান্সারে মলিকুলার প্রোফাইলিং ও টার্গেটেড থেরাপির আধুনিক প্রয়োগ, গবেষণাভিত্তিক অগ্রগতি ও আন্তর্জাতিক অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন।
আরও বক্তব্য রাখেন বিএমইউর গাইনিকোলজিক্যাল অনকোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডা. জান্নাতুল ফেরদৌস এবং জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইনস্টিটিউটের গাইনি অনকোলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডা. বেগম রোকেয়া আনোয়ার।
আপন দেশ/জেডআই