Apan Desh | আপন দেশ

ডাকসু ভোট বর্জনের ঘোষণা উমামা ফাতেমার

ঢাবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ০৯:১৫, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

আপডেট: ১০:৪৪, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ডাকসু ভোট বর্জনের ঘোষণা উমামা ফাতেমার

উমামা ফাতেমা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্রসংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ভোট বর্জনের ঘোষণা দিছেন সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী উমামা ফাতেমা। মঙ্গলবার (০৯ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নিজের এ ঘোষণা দেন তিনি।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে নিজের ভেরিফায়েড পেজে এক পোস্টে উমামা ফাতেমা লেখেন, “বয়কট! বয়কট! ডাকসু বর্জন করলাম। সম্পূর্ণ নির্লজ্জ কারচুপির নির্বাচন। ৫ আগস্টের পরে জাতিকে লজ্জা উপহার দিল ঢাবি প্রশাসন। শিবির পালিত প্রশাসন।

এ পোস্টের এক ঘণ্টা আগে দেয়া অপর এক পোস্টে তিনি উল্লেখ করেন, চলিতেছে সার্কাস। কে কে দেখতেছেন?!

স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) এ প্রার্থী যখন চলিতেছে সার্কাস। কে কে দেখতেছেন?! পোস্টটি দেন তখন সময় রাত ২টা ৩০ মিনিট। ডাকসুর পাঁচটি হলের ফল মাত্র ঘোষণা হয়েছে। ওই সময়ে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোটের ভিপি প্রার্থী মো. আবু সাদিক (সাদিক কায়েম) পেয়েছেন ৭০৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মো. আবিদুল ইসলাম খান পেয়েছেন ১৭৮৯ ভোট। আর উমামার ঝুলিতে ছিল ১৩১৬ ভোট। 

তার ওই পোস্টে ওই সময় পর্যন্ত সাড়ে তিন হাজার রিঅ্যাকশন পড়েছে এবং মন্তব্য হয়েছে আট শতাধিক।

সর্বশেষ দেয়া পোস্টে ভোর ৫টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত ১৫ হাজার রিঅ্যাকশন এবং এক হাজার ৯০০ মন্তব্য হয়েছে। এ সময় পর্যন্ত উমামার ঝুলিতে পড়েছে ২১০০ ভোট।  

এর আগে পৃথক এক পোস্টে ছাত্রদলের সমর্থিত ভিপি প্রার্থী মো. আবিদুল ইসলাম খান লেখেন, পরিকল্পিত কারচুপির এ ফলাফল দুপুরের পরপরই অনুমান করেছি। নিজেদের মতো করে সংখ্যা বসিয়ে নিন। এই পরিকল্পিত প্রহসন প্রত্যাখ্যান করলাম।

আরও পড়ুন<<>>ডাকসুর ফলাফল প্রত্যাখ্যান ছাত্রদলের ভিপি প্রার্থী আবিদের

রাত পৌনে ২টা থেকে হলগুলোতে পৃথকভাবে ফল ঘোষণা শুরু হয়। 

দীর্ঘ ছয় বছর পর অনুষ্ঠিত হয় মিনি পার্লামেন্ট খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন। মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের আটটি কেন্দ্রে ৮১০টি বুথে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়।

এবারের নির্বাচনে ডাকসুর ২৮টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন মোট ৪৭১ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নারী প্রার্থী ৬২ জন। সহ-সভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন এবং সহ-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নারী প্রার্থীদের মধ্যে ভিপি পদে ৫ জন, জিএস পদে একজন ও এজিএস পদে ৪ জন প্রার্থী ছিলেন।

এবার মোট ভোটার ছিলেন ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে ছাত্র ভোটার ২০ হাজার ৮৭৩ জন এবং ছাত্রী ভোটার ১৮ হাজার ৯০২ জন। নির্বাচনে ৮০ শতাংশের বেশি ভোটগ্রহণ করা হয়েছে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়