
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ
অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, দেশের সেবা খাতে সবচেয়ে বেশি দুর্নীতি বিরাজমান। আমি নিজেও একসময় নিরুপায় হয়ে ঘুষ দিয়েছি, যাতে কাজটি সময়মতো হয়। বলেছি, এটা চা-নাশতার টাকা।
তিনি বলেন, উপদেষ্টা হওয়ার আগেও তাকে বাধ্য হয়ে ঘুষ দিতে হয়েছে, যাতে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন হয়।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে জাতীয় রাজস্ব ভবনে ‘ট্যাক্স রিপ্রেজেন্টেটিভ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (টিআইএমএস)’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন অর্থ উপদেষ্টা।
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, মানুষ এসব দুর্নীতি থেকে মুক্তি চায়। আপনারা মানুষকে সেবা দিন। মানুষ ভালো সেবা পেলে সেবার মূল্য দিতেও কৃপণতা করবে না।
তিনি বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের পর চলে যেতে হবে। এর আগেই দেশের মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই। আমি এনবিআর চেয়ারম্যানকে জিজ্ঞাসা করলাম সুফল কি আমরা দেখে যেতে পারব? কারণ, আমাদের ফেব্রুয়ারি মাসের পর চলে যেতে হবে, এর আগে কিছুটা দেখে যাব কি না।
এ উপদেষ্টা বলেন, প্রধান উপদেষ্টা প্রায়ই আমাকে বলেন, কিছু কিছু কন্ট্রিবিউট করে যাই আমরা। কন্ট্রিবিউট মানে বাইরে অনেক বিরাট, এ সে… অনেকেই চোখেও দেখে না। করলেও দেখে যে কিছুই হচ্ছে না। আজও দেখলাম কোনো একটা পত্রিকায়… নাম বলব না, সবখানে লিখেছেন হতাশা। উনি আশার কথা কিছুই দেখছেন না মনে হয়। আমি জানি না উনি দেখছেন কি না।
আরওপড়ুন<<>>ঢাকায় শুরু হলো দ্বিতীয় বিআরআই প্রদর্শনী
ড. সালেহউদ্দিন বলেন, আমরা মানুষের জন্য কিছু করে যেতে চাই। কারণ, পরে যে সরকার আসবে সময় লাগবে, বুঝতে সময় লাগবে। আর সদিচ্ছার ব্যাপার আছে। এর মধ্যে যদি কিছুটা আশার আলো দেখাতে পারি।
কর আইনজীবীদের উদ্দেশে এ উপদেষ্টা বলেন, সেবা খাতে অনেক হয়রানি করা হয়। লোকজনকে ঘোরানো হয়। আমি নিজেও অনেক সময়… মাঝে মাঝে বলে দিই… আরে দিয়ে দাও না। ড্রাইভারকে বলি ড্রাইভিং লাইসেন্স করতে আমাকে বলো টলো না। এগুলো থেকে যাতে মানুষ নিস্তার পায়। একটু সেবা করেন। মানুষ চায় সেবা। ভালো সেবার ক্ষেত্রে কেউ সেবার মূল্য দিতে কৃপণতা করে না।
টিআরএমএস পুরো প্রক্রিয়া দেশে হওয়ায় সবাইকে সাধুবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এসব কাজে বিদেশি প্রতিষ্ঠান নিয়োগ করার অভ্যাসটা বেশি হয়ে গেছে। বাইরে থেকে যারা আসে তারা আবার তাদের দেশের সরঞ্জাম বিক্রির চেষ্টা করে।
এ ধরনের কার্যক্রম সবার জন্য মঙ্গলজনক জানিয়ে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে বা কোম্পানি পর্যায়ে ছাড়াও যারা কর সংগ্রহ করবে তাদের জন্য সুবিধা। সংগ্রহ করতে গেলে কত রকমের কাগজপত্রে লিখতে হয়। পরে কিন্তু অনেক থ্যাংকস-লেস হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবদুর রহমান খান। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ট্যাক্স ল ইয়ারস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি অ্যাডভোকেট রমিজ উদ্দিন আহমেদ, ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশের (আইসিএমএবি) প্রেসিডেন্ট মাহতাব উদ্দিন এবং ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড সেক্রেটারিজ অব বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এম নাসিমূল হাই।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।