Apan Desh | আপন দেশ

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:০৮, ৫ এপ্রিল ২০২৪

আপডেট: ১৭:১৮, ১১ এপ্রিল ২০২৪

যুব মহিলা লীগ নেত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ভাইরাল

ইসরাত জাহান তনু

যুব মহিলা লীগ সভাপতি ইসরাত জাহান তনু। ময়মনসিংহ জেলার আসন্ন মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তিনি। তনুর মদপান ও ইয়াবা সেবনের ছবি এবং ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ভাইরাল হয়েছে। এ দোষে দল তাকে বহিষ্কার করেছে।   

ভিডিওতে দেখা যায়, মহিলা লীগ নেত্রী একবারে এক বোতল মদ সাবাড় করছেন। সঙ্গে ইয়াবাও। এ নেত্রীর মদ-ইয়াবা সেবনে বুদ হবার ছবি এখন ফেসবুকে ক্লিক করলেই ভেসে উঠছে।  

তবে ভুক্তভোগী নারীর দাবি, আপত্তির ফেক ছবি ও ভিডিও তৈরি করে ফেসবুকে আপলোড করে তার সম্মানহানি করা হচ্ছে। নির্বাচন থেকে সরানোর পাঁয়তারা করছে তার প্রতিপক্ষরা। এর প্রতিকার পেতে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। তার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলাম মনিরের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এ নেত্রীর।

এর আগে চলতি বছরের সোমবার (১ এপ্রিল) বাংলাদেশ যুব মহিলা লীগের দলীয় প‍্যাডে, সংগঠনবিরোধী ও শৃংখলা পরিপন্থি কার্যক্রমে জড়িত থাকার অভিযোগে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

গত ৪ এপ্রিল মোহাম্মদ রাকিবুল হাসান নামের এক ব্যক্তির ফেসবুক আইডি থেকে তনুর আপত্তিকরসেই ছবি এবং ভিডিও ফেসবুকে আপলোড করা হয়। পরে একে একে বিভিন্ন আইডি থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়া হয় ছবি এবং ভিডিও।

ভুক্তভোগী ওই যুব মহিলা লীগ নেত্রীর দাবি, তার সাবেক স্বামী খাইরুলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যাওয়ায় সে কিছু সাংবাদিক ও লোকজন দিয়ে তাকে হয়রানি করছে। তাকে ব্লাকমেইল করছেন। এবার ফেসবুকে ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে বিভিন্নভাবে অর্থ দাবি করে ব্লাকমেইল করা হচ্ছে। তা দিতে অস্বীকৃতি জানালে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ওই নেত্রীর কিছু ছবি ও ভিডিও ছেড়ে দেয়া হয়।

ভুক্তভোগী নারী এ বিষয়ে আইনের আশ্রয় নিয়েছেন। থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছেন বলে জানান। এছাড়া বিষয়টি নিয়ে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইসিটি আইনে মামলা করার কথাও বলেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে তনু গণমাধ্যমকে বলেন, আমার বহিষ্কার হওয়ার পেছনে এবং নির্বাচনের প্রার্থিতা থেকে সরাতে আমার সাবেক স্বামী খাইরুল ইসলম মনিরকে হাতিয়ার হিসেবে ব‍্যবহার করছে প্রতিপক্ষরা। ২০২২ সালের একটি ভিডিওতে কিছু ছবি এডিট করে আমার নামে চালিয়ে দেয়ার অপচেষ্টা করা হচ্ছে। যা সম্পূর্ণ ফেক ও ভিত্তিহীন। আমাকে সামাজিকভাবে হেয়প্রতিপন্ন করতে মোহাম্মদ রাকিবুল ইসলাম ও বদরুল আমিনসহ কিছু মানুষ উঠেপড়ে লেগেছে। এ বিষয়ে আমি থানায় জিডি করেছি এবং আইসিটি আইনে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। বিষয়টি জেলা ও কেন্দ্রীয় যুব মহিলা লীগের নেতৃবৃন্দদের অবহিত করেছি। আশা করি, ন‍্যায় বিচার পাব।

জেলা যুব মহিলা লীগের আহ্বায়ক বিলকিস খানম পাপড়ি বলেন, তার বহিষ্কারের বিষয়টি সঠিক। কিন্তু ফেসবুকে ছড়ানো ছবি ও ভিডিওগুলো ফেক। সেগুলো যে তনুর না সেটি জেলা ও কেন্দ্রীয় নেতাদের কাছে পরিষ্কার হয়ে গেছে। তার পদের বিষয়েও সুপারিশ করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে মুক্তাগাছা থানার ওসি ফারুক আহমেদ বলেন, বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করে আইনগত ব‍্যবস্থা নেয়া হবে।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়