Apan Desh | আপন দেশ

জমি না দিলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ

রাজশাহী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:২০, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩

জমি না দিলে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি, থানায় অভিযোগ

ছবি : সংগৃহীত

রাজশাহী মহানগরীতে নারীর অসহাত্বকে পুঁজি করে ব্যবসায়ী মো. রশিদ কোরাইশীর (৪৫) জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন শামিমা খাতুন মিতু (৪০)। অন্যদিকে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা না দিলে জমি ছাড়বেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন ওই নারী। টাকা চাওয়ার বিষয়টি ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ২৯ নভেম্বর শিরোইল মৌজার শিরোইল কলোনী ৪ নম্বর রোডে ০.০৪১৫ একর জমি বিক্রয় কবলা মুলে তিনজন ওয়ারিশের কাছ থেকে কিনে নেন রশিদ কোরাইশী। তিনি চন্দ্রিমা থানার শিরোইল কলোনী হাজরাপুকুর এলাকার মৃত অব্বাস আলীর ছেলে।

এর আগে, জমির মালিক বেগম আফরোজা রহমান কলোনীর মিতু নামের এক নারীকে কুড়ে ঘর থাকাবস্থায় ভাড়া দেন। ভাড়া নেয়ার চার বছর পর মিতু সেখানে পাকা ঘর নির্মাণ করেন এবং বসবাস শুরু করেন। অথচ জমির মালিক আফরোজা রহমান মিতুর কাছে জমি বিক্রি করেননি। এমনকি কোন প্রকার বায়নানামাও করেননি। বিক্রি বা বায়নার কোন দলিল দেখাতে পারছেন না মিতু। তাহলে কীভাবে জমি নিজের বলে দাবি করেন? 

এ নিয়ে ওয়ার্ড কার্যালয়ে একাধিকবার সালিশ হলেও মিতু প্রকাশ্যে ৩০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। না দিলে জমি ছাড়বেন না বলে কার্যালয় থেকে বেড়িয়ে যান।

কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন বলেন, কিছু কুচক্রি মহলের কাছে প্রভাবিত হয়ে বেআইনি দৌঁড়ঝাঁপ শুরু করেছেন তিনি। যার কোন আইনি ভিত্তি নেই। তার কাছে বৈধ কোন দলিল না থাকায় জমিটি রশিদ কোরাইশীকে বুঝিয়ে দেয়ার অনুরোধ জানাই। এখন জমিটি ছাড়াতো দূরের কথা বিভিন্ন দফতরে মায়াকান্না দেখাচ্ছেন এবং মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে বেড়াচ্ছেন।

প্রতিবেশী মৌলভী আতাউল মুস্তফা কাদেরী বলেন, জমির মালিক বেগম আফরোজা রহমান, বসবাস করতেন পাবনা জেলার হেমায়েতপুর ব্র্যাকমোড় রাধানগর গ্রামে। সেখানে বাস করার সুবাদে তিনি রাজশাহীতে নিয়মিত যাতায়াত করতে পারতেন না। ফলে ওই জমিতে মিতুর কুনজর পড়ে। আস্তে আস্তে জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করে ফেলেন তিনি। পরে আফরোজা এক সময় রাজশাহীতে আসলে দেখতে পান তার জমিতে পাকা ঘর নির্মাণ করে বাস করছে মিতু। এরপর ভয়ভীতি দেখিয়ে বেগম আফরোজাকে রাজশাহী থেকে তাড়িয়ে দেন।

পরবর্তীতে আফরোজা রহমান মারা গেলে ওয়ারিশ সূ্ত্রে জমির মালিক হন তার ছেলে-মেয়ে। গত ২৯ নভেম্বর জমি ভাগাভাগি হলে তারা রশিদ কোরাইশীর কাছে তা বিক্রি করেন।

অভিযুক্ত শামিমা খাতুন মিতু জানান, বেগম আফরোজার মৃত্যুর আগে তার ছেলে আশরাফুর রহমানের সাথে দেড় লাখ টাকা বায়নানামা করি। এরপরও তিনি এবং তার দুই বোন রশিদ কোরাইশীর কাছে জমিটি বিক্রি করে দেন। পরে আশরাফুরের বিরুদ্ধে মামলা করলে আদালত তাকে দুই বছরের কারাদণ্ড দেন। এখন আমি আমার জমি ফেরত চাই। 

এ ঘটনায় মিতুর বিরুদ্ধে ভুক্তভোগী রশিদ কোরাইশী চন্দ্রিমা থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।

চন্দ্রিমা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহবুব আলম জানান, ব্যবসায়ী রশিদ কোরাইশী মিতু নামের এক নারীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

আপন দেশ/আইবি/এসএমএ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়