
ফাইল ছবি
বিশ্বের দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার প্রায়ই শীর্ষ পাঁচে থাকতে দেখা যায় ভারতের দিল্লি শহরকে। শহরটির দূষণে মাঝেমধ্যেই বাসিন্দাদের জীবন অতিষ্ট হয়ে ওঠে। আজও সে ধারা অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে দিল্লির বাতাসের একিইআই স্কোর ছিল ১৬৩। বায়ুমান সূচক অনুযায়ী, এ স্কোরের বাতাসকে বাসিন্দাদের জন্য ‘অস্বাস্থ্যকর’ বলে গণ্য করা হয়। এ স্কোর নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি।
আইকিউএয়ারের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দিল্লির দূষণের কারণ অসংখ্য, প্রতিটি বিষয় নিয়েই আলাদা প্রতিবেদন লেখা সম্ভব। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় দায় যানবাহনের ধোঁয়া। শহরটিতে বিপুল সংখ্যক গাড়ি চলাচল করে, যার অনেকগুলোর ইঞ্জিনের মান নিয়ে প্রশ্ন আছে—বিশেষ করে পুরোনো ট্রাক, লরি ও বাসগুলোর নিয়ে। এসব যান থেকে প্রচুর পরিমাণে ধোঁয়া ও কুণ্ডলী আকারে ধূসর কুয়াশা নির্গত হয়। এতে পুরো শহর ঢেকে যায় কালো কার্বন (ব্ল্যাক কার্বন বা BC)-এর আস্তরণে। ফলে শহরটির বাতাসের দূষণমাত্রা প্রায়ই বেশি থাকে।
আরও পড়ুন<<>> তাপমাত্রা-বৃষ্টি নিয়ে নতুন বার্তা দিল আবহাওয়া অধিদফতর
এদিকে, ঢাকার বাতাসের মানে আজ খুব একটা পরিবর্তন দেখা যায়নি। গতকালের মতো আজও শহরটির বাতাস ‘মাঝারি’ পর্যায়ে রয়েছে। এ স্কোর নিয়ে আজ তালিকার ১৭তম স্থানে নেমে এসেছে ঢাকা। গতকালও এ সময়ে ১৭ তম স্থানেই ছিল ঢাকা, একিউআই স্কোর ছিল ৮৩।
একই সময়ে তালিকার শীর্ষে ছিল সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই, একিউআই স্কোর ১৭৮। এ ছাড়া ১৬৫ স্কোর নিয়ে তালিকার দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে কঙ্গোর কিনশাসা। তৃতীয় স্থানে আজ রয়েছে দিল্লি।
কণা দূষণের এ সূচক ৫০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘ভালো’ বলে গণ্য করা হয়। আর স্কোর ৫০ থেকে ১০০-এর মধ্যে থাকলে তা ‘মাঝারি’ হিসেবে শ্রেণিভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া ১০১ থেকে ১৫০ হলে ‘সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচিত হয়। এ পর্যায়ে সংবেদনশীল ব্যক্তিদের দীর্ঘ সময় বাইরে পরিশ্রম না করার পরামর্শ দেয়া হয়।
তবে এ স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তা ‘অস্বাস্থ্যকর’, ২০১ থেকে ৩০০ হলে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ এবং ৩০১-এর বেশি হলে তা ‘বিপজ্জনক’ হিসেবে বিবেচিত হয়। জনস্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ঝুঁকি সৃষ্টি করে ৩০০-এর বেশি যেকোনো সূচক।
বাংলাদেশে একিউআই সূচক নির্ধারিত হয় পাঁচ ধরনের দূষণের ভিত্তিতে- বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (এনও₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (সিও), সালফার ডাই-অক্সাইড (এসও₂) ও ওজোন।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।