Apan Desh | আপন দেশ

ক্রীড়া কমিটিতে আ.লীগের এমপির ভাই, সংগঠকদের ক্ষোভ 

ক্রীড়া প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ০৯:৫৪, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ক্রীড়া কমিটিতে আ.লীগের এমপির ভাই, সংগঠকদের ক্ষোভ 

ছবি: আপন দেশ

বিগত ১৬ বছরে ক্রীড়া ফেডারেশন ও জেলা ক্রীড়া সংস্থার কমিটিতে তৎকালীন আওয়ামী লীগ দলীয় লোকদের প্রাধান্য ছিল বেশি। অভিজ্ঞ সংগঠকদের বাদ দিয়ে দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া হত। তবে গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর পরিস্থিতি পুরো বদলে গেলেও সম্প্রতি যশোরে ঘটেছে উল্টো ঘটনা।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটিতে যশোর-৩ (সদর) আসনের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদের ছোট ভাই কাজী ইনাম আহমেদকে সদস্য করা হয়েছে। এ সিদ্ধান্তে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় ক্রীড়া সংগঠকরা।

সম্প্রতি যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটি গঠন করে প্রজ্ঞাপন জারি করেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের নির্বাহী পরিচালক (যুগ্ম সচিব) কাজী নজরুল ইসলাম। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত হলেও যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে আনুষ্ঠানিকভাবে এ বিষয়ে কিছু জানানো হয়নি।

এর আগে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারি সাত সদস্যের আহবায়ক কমিটি গঠন করে ২৬ জানুয়ারি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ। ওই কমিটিতে স্থান পাওয়া কোচ শ্রী নিবাস হালদারকে অপসারণ করে গত ১১ সেপ্টেম্বর কাজী ইনাম আহমেদকে সদস্য হিসেবে যুক্ত করে ৯ সদস্যের সংশোধিত কমিটির তালিকা প্রকাশ করে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।

আরও পড়ুন<<>>আর্জেন্টিনার দেখানো পথেই হাটল ব্রাজিল!

এ সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন যশোরের ক্রীড়া সংগঠকরা। আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি কাজী নাবিল আহমেদ ও তার ভাই কাজী ইনাম আহমেদ দীর্ঘদিন যশোরের ক্রীড়াঙ্গণকে দখলে রেখে কোনো উন্নয়ন করেননি। বর্তমান সরকারের পতনের পর তারা ক্রীড়াঙ্গণ থেকে বিদায় নিলেও আবারও প্রশাসনিক সিদ্ধান্তে ফিরে আসায় ক্রীড়া প্রেমীরা হতাশা প্রকাশ করেছেন।

জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম এ আকসাদ সিদ্দিকী শৈবাল বলেন, জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের এ সিদ্ধান্ত যশোরবাসীর জন্য দুঃখজনক। কাজী ইনাম আগে তার ভাইয়ের প্রভাব খাটিয়ে বিসিবির যশোরের কাউন্সিলর পদ দখল করেছিলেন। এখন আবার তাকে জেলা ক্রীড়া সংস্থায় ঢুকিয়ে যশোরের ক্রীড়াঙ্গণকে জিম্মি করার চেষ্টা চলছে।

সাবেক কোষাধ্যক্ষ সোহেল মাসুদ হাসান টিটো বলেন, যশোরের ক্রীড়াঙ্গণকে ধ্বংস করতে কাজী ইনামকে কমিটিতে রাখা হয়েছে। তাকে দ্রুত বাদ দিতে হবে, নইলে আন্দোলন করে সরানো হবে।

বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু বলেন, এটা ফ্যাসিস্ট পুনর্বাসনের অংশ। যাদের হাতে যশোরের ক্রীড়াঙ্গণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তাদের আবার ফিরিয়ে আনা অন্যায়। আমরা যশোরবাসী এ সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করছি।

এ বিষয়ে যশোর জেলা প্রশাসক এবং জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির আহবায়ক মো. আজাহারুল ইসলাম বলেন, কাজী ইনাম আহমেদকে কীভাবে কমিটিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে তা আমার জানা নেই। আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে একটি চিঠি দেখে বিষয়টি জেনেছি।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়