ছবি: সংগৃহীত
যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের ফাইনালে মুখোমুখি হবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব চেলসি ও ইউরোপীয় চ্যাম্পিয়ন প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)।
রোববার (১৩ জুলাই) নিউ জার্সির সাড়ে ৮২ হাজার ধারণক্ষমতা সম্পন্ন মেটলাইফ স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় অনুষ্ঠিত হবে রোমাঞ্চকর এ ফাইনাল। দুদলেই রয়েছে তারকার ভিড়, নতুন সংযোজন ও জয়ের তীব্র আকাঙ্খা। আজই নির্ধারিত হবে, কে হবে বিশ্বসেরা ক্লাব।
৩২ দল নিয়ে গত ১৫ জুন শুরু হয়েছিল নতুন ফরম্যাটের ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপ। ৬২ ম্যাচ শেষে ৩০টি দলের বিদায়ে এখন কেবল শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট পরিধানের অপেক্ষায় চেলসি ও ইউরো চ্যাম্পিয়ন পিএসজি।
কোচ এনজো মারেস্কার অধীনে চেলসি গ্রুপ পর্বে ফ্ল্যামেঙ্গো, ইএস তিউনিস ও লস অ্যাঞ্জেলস এফসির বিপক্ষে খেলেছিলো। তবে ফ্ল্যামেঙ্গোর কাছে ৩-১ ব্যবধানে অপ্রত্যাশিতভাবে হেরে গেলেও বাকি ম্যাচগুলোতে খুব একটা সমস্যায় পড়েনি দলটি। এরপর নকআউট পর্বের ধাপে ধাপে বেনফিকা, পালমেইরাস ও সেমিফাইনালে ফ্লুমিনেন্সকে হারিয়ে ফাইনালে পৌঁছে চেলসি।
আরওপড়ুন<<>>যুব এশিয়া কাপ হকিতে পদক জয় মেয়েদের
চেলসি কোচ নতুন খেলোয়াড়দেরও সাহস করে ব্যবহার করছেন গুরুত্বপূর্ণ এ প্রতিযোগিতায়। এর মধ্যে অন্যতম হলেন ব্রাজিলের হুয়াও পেদ্রো। যিনি সেমিফাইনালে জোড়া গোল করে দল জিতিয়েছেন। তরুণ এ দলটি যেন থামতে জানে না, জয়ের নেশায় ছুটছেই অনবরত।
তবে অনেকেরই ধারণা, ফাইনালে ওঠার পথটা খুব কঠিন ছিল না চেলসির জন্য। তবুও কাগজে-কলমে দলটি পিএসজির জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হতে পারে। কারণ বর্তমানে দুর্দান্ত ফর্মে আছেন পেদ্রো নেতো, পেদ্রো ও কোল পালমার। যারা ব্লুজদের আক্রমণভাগে প্রাণ সঞ্চার করছেন।
তবে রক্ষণভাগ নিয়ে চিন্তায় আছে ইংলিশ ক্লাবটি। পুরো টুর্নামেন্টজুড়েই প্রতিপক্ষের কাছে গোল হজম করেছে দলটি। বিশেষ করে ফ্ল্যামেঙ্গোর বিপক্ষে হারটি ছিল সবচেয়ে বড় ধাক্কা।
অপরদিকে, সদ্য ইউরো জয়ী পিএসজি কিলিয়ান এমবাপে রিয়াল মাদ্রিদে চলে যাওয়ার পর লুইস এনরিকের অধীনে নতুন রূপে আবির্ভূত হয়েছে। ২০২৪-২০২৫ মৌসুমের চ্যাম্পিয়ন লিগ (প্রথমবার) জিতেছে তারা। এছাড়া ক্লাব বিশ্বকাপের নকআউটে ইন্টার মিয়ামি ও রিয়াল মাদ্রিদকে ৪-০ ব্যবধানে উড়িয়ে দিয়ে দাপটের সঙ্গেই ফাইনালে উঠেছে ফরাসি ক্লাবটি।
পিএসজির সবচেয়ে বড় অস্ত্র হয়ে উঠেছেন উসমানে ডেম্বেলে। সঙ্গে রয়েছেন দেজিয়ের দুয়ে, খভিচা কাভারাত্সখেলিয়া ও ফাবিয়ান রুইজরাও। যারা চেলসির রক্ষণকে চাপে রাখবে নিশ্চিতভাবেই।
চেলসির জন্য আরও চিন্তার বিষয় হলো পিএসজির দুই উইংব্যাক নুনো মেন্ডেস ও আশরাফ হাকিমি। যারা চেলসির কুকুরেল্লা ও রাইট-ব্যাকে খেলতে যাওয়া রিস জেমস বা মালো গুস্তোর জন্য বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াতে পারেন। সব মিলিয়ে এগিয়ে রয়েছে পিএসজি। এখন দেখার বিষয়, শেষ পর্যন্ত কে চমক দেখাবে- চেলসি না পিএসজি।
উল্লেখ্য, চেলসি ও পিএসজির এর আগে সব ধরণের প্রতিযোগিতা মিলিয়ে দেখা হয়েছে মোট ১০বার। যার তিনটিতে জিতেছে পিএসজি, দুটিতে চেলসির জয়। আর ড্র হয়েছে বাকি পাঁচ ম্যাচ।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
