বাংলাদেশ ও পাকিস্তান দলের খেলোয়াড়রা
নিজেদের হোয়াইটওয়াশ হওয়ার তালিকা আরেকটু লম্বা করলেন লিটন দাসরা। টানা দুই ম্যাচ হেরে আগেই পাকিস্তানের কাছে টি-টোয়েন্টি সিরিজ হাতছাড়া করেছিল বাংলাদেশ দল। তৃতীয় ম্যাচ জিতে শেষটা রাঙানোর পাশাপশি ধবলধোলাই ঠেকাতে চেয়েছিল টাইগাররা। সে লক্ষ্যে বড় পুঁজি গড়ে স্বাগতিকদের চ্যালেঞ্জ ছুরে দিয়েছিল লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। কিন্তু ১৯৬ রান করেও শেষ রক্ষা হলো না ফিল সিমন্সের শিষ্যদের।
১৬ বল হাতে রেখে ১৯৬ রান টপকে ৭ উইকেটে জিতে গেছে পাকিস্তান। ফলে তিন ম্যাচের সিরিজটি ৩-০ ব্যবধানে হেরে হোয়াইটওয়াশ হলো লিটন দাসের দল।
রোববার (০১ জুন লাহোরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ছিল দুর্দান্ত। তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমনের উদ্বোধনী জুটিতে আসে ১০.৪ ওভারে ১১০ রান। তানজিদ ৩২ বলে ৪২ করে ফিরলেও, আগ্রাসী ব্যাটিংয়ে ইনিংস গড়েন পারভেজ। ৩৪ বলে ৭টি চার ও ৪টি ছক্কায় করেন ৬৬ রান। এরপর লিটন দাস ২২, তাওহিদ হৃদয় ২৫ ও জাকের আলী অপরাজিত ১৫ রান যোগ করলে ২০ ওভারে ৬ উইকেটে স্কোরবোর্ডে ওঠে ১৯৬।
তবে লক্ষ্যটা যত বড়ই হোক, পাকিস্তানের ব্যাটিং আগ্রাসনের কাছে তা টেকেনি। শুরুতেই মেহেদী হাসান মিরাজ ফিরিয়ে দেন সাহিবজাদা ফারহানকে। কিন্তু এরপরই ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেন মোহাম্মদ হারিস ও সাইম আইয়ুব।
দুইজনের ৫৩ বলে ৯২ রানের জুটি গড়ে দলের ভিত গড়ে দেন। সাইম ২৯ বলে ৪টি চার ও ৩টি ছক্কায় করেন ৪৫ রান। অন্যদিকে, একপাশে অবিচল ছিলেন হারিস। ক্যারিয়ারের প্রথম আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি সেঞ্চুরি তুলে নেন এই ডানহাতি ব্যাটার। ৮টি চার ও ৭টি ছক্কায় ৪৬ বলে করেন অপরাজিত ১০৭ রান।
মাঝখানে ১৩ বলে ২৬ রান করে ভয় ধরিয়ে দিয়ে ফেরেন হাসান নেওয়াজ। তাঁকেও ফেরান মিরাজ। তবে পাকিস্তানের জয়ের পথে সেই উইকেট বড় কোনো বাধা হয়ে দাঁড়ায়নি। ইনিংসের ১৭.২ ওভারে ৩ উইকেটে ১৯৭ রান তুলে ম্যাচ জিতে নেয় তারা। বাংলাদেশের হয়ে দুটি উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, একটি পেয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব।
প্রথম ম্যাচে দুই ম্যাচে হারের পর আজকের ৭ উইকেটের হার—এর মধ্য দিয়ে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের তেতো স্বাদ নিয়েই মাঠ ছাড়তে হলো বাংলাদেশকে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
