
ফাইল ছবি
কথা বলা মহান আল্লাহর নিয়ামত। কথা বলতে পারেনা এমন ব্যক্তিরাই বুঝে কথা বলতে পারাটা কতবড় নিয়ামত। কথা বলতে হবে-- জেনে-বুঝে ও হিসেব করে।
আমরা কত কথাই না বলি, রাতে ঘুমানোর পূর্বে একটু হিসেব মিলিয়ে নেয়া জরুরি ভালো ও মন্দের। কথা বলার নেয়ামত পেয়ে নিজ ইচ্ছে অনুযায়ী যখন তখন যেখানে সেখানে কথার মাধ্যমে শক্তি প্রয়োগ করা উচিত নয়। ভালো মন্দ সকল কথাই লিপিবদ্ধ করা হয়।
মহান আল্লাহ বলেন, মানুষ যে কথাই উচ্চারণ করে, তা লিপিবদ্ধ করার কাজে সচেতন পাহারাদার ফেরেশতা তার নিকটে রয়েছে। (সুরা কাফ, আয়াত: ১৮।)
প্রয়োজনের বেশী কথা বললে ব্যক্তিগত, পারিবারিক ও সামাজিক এবং রাষ্ট্রীয় জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সম্ভাবনা রয়েছে। আপনি লক্ষ্য করুন, অধিকাংশ সমস্যাই সৃষ্টি অতিরিক্ত কথা বলার কারণেই । মিথ্যা, গিবত, চোখলখুরী, অশ্লীলতা প্রকাশ ও অহংকারী মনোভাব এবং ঝগড়া বিবেদ সৃষ্টির মূল কারণ অতিরিক্ত কথা বলা।
তিরমিজি শরিফে উল্লেখ রয়েছে, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাহাবি জিজ্ঞেস করলেন, হে আল্লাহর রসুল! আপনি আমার ক্ষেত্রে যা কিছুর আশঙ্কা করেন, এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি আশঙ্কাজনক কোনটি? তখন রসুলুল্লাহ তার নিজের জিহ্বাটি ধরে বললেন- এটা সবচেয়ে আশঙ্কাজনক।
জেনে শুনে সতত্য যাচাই করে সতর্কতা অবলম্বন করে নম্র ভাষায় বুদ্ধি খাটিয়ে কথা বলতে হবে। মনে রাখতে হবে আমার প্রতিটি কথাই লিপিবদ্ধ করা হচ্ছে। সর্বদা মিথ্যা পরিহার করে সত্য বলতে হবে। বিশৃঙ্খলা এড়িয়ে অন্যকে কষ্ট দেওয়া থেকে বিরত থেকে শত্রুকে বন্ধু বানানোর মতো কথা বলা জরুরি। কথা বললে ভালো কথা বলা উচিত, অন্যথায় চুপ থাকাই উত্তম। রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন,
যে ব্যক্তি আল্লাহ ও শেষ দিনের প্রতি বিশ্বাস রাখে, সে যেন ভালো কথা বলে; নচেৎ চুপ থাকে। (বুখারি শরিফ)
কথা কম বলা গুরুত্বপূর্ণ ইবাদত। কথা কম বলা ব্যক্তির শত্রুও কম। সর্বদা কথার সাথে কাজেরও মিল রাখা চাই। সুযোগ পেলেই অনার্থক ও খেয়াল খুশিমতো কথা বলা পরিহার করতে পারলেই দুনিয়াবী ধ্বংস ও জাহান্নামের আজাব থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। হজরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রসুল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, যে নীরব থাকে সে মুক্তি পায়। (তিরমিজি)
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।