
ফাইল ছবি।
আজ ১০, মহররম পবিত্র আশুরা। হিজরি বর্ষের প্রথম মাস মহররমের ১০ তারিখ পবিত্র আশুরা হিসেবেও পরিচিত। মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও শোকাবহ দিন। ৬১ হিজরির আজকের দিনেই ফুরাত নদীর তীরবর্তী কারবালায় শহীদ হন মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রিয় দৌহিত্র ইমাম হোসেন (রা.)। তিনি হজরত আলী (রা.) ও হজরত ফাতেমার (রা.) পুত্র।
দিনটি উপলক্ষ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী ধর্মীয় অনুষ্ঠান, নফল রোজা ও ইবাদতে মগ্ন রয়েছেন মুসলমানরা। শিয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার হোসাইনী দালান ইমামবাড়া থেকে বের হবে ১০ মহররমের প্রধান তাজিয়া মিছিল।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আয়োজনে আজ বাদ জোহর অনুষ্ঠিত হবে ‘পবিত্র আশুরার গুরুত্ব ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল। এতে প্রধান আলোচক হিসেবে থাকবেন মুফতি মাওলানা মো. মুজির উদ্দিন। সভাপতিত্ব করবেন ড. মোহাম্মদ হারুনূর রশীদ।
আরওপড়ুন<<>>আশুরার ইতিহাস, করণীয়-বর্জনীয়
রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পবিত্র আশুরা উপলক্ষে পৃথক বাণী দিয়েছেন। প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে সমাজে সত্য ও ন্যায়ের প্রতিষ্ঠায় আশুরার মর্মবাণী অন্তরে ধারণ করার আহবান জানান।
হাদিস অনুযায়ী, আশুরার রোজায় পূর্ব বছরের গুনাহ মাফ হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) আশুরার আগের দিন (০৯ মহররম) ও আশুরার দিন (১০ মহররম)। অথবা আশুরার দিন ও পরের দিন (১১ মহররম) রোজা রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।
এদিকে, তাজিয়া মিছিলে ধারালো অস্ত্র, লাঠি, আতশবাজি ও পটকা বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য রক্ষায় এবং জননিরাপত্তার স্বার্থে ডিএমপি অর্ডিন্যান্স ১৯৭৬-এর ২৮ ও ২৯ ধারায় এসব নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।