Apan Desh | আপন দেশ

‘আ. লীগ আলেম-উলামাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে’

মির্জাগঞ্জ (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৮:০০, ১৮ আগস্ট ২০২৫

‘আ. লীগ আলেম-উলামাদের ওপর অমানবিক নির্যাতন করেছে’

ছবি: আপন দেশ

গত ১৫ বছরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ আলেম-উলামাদের ওপর অমানবিক জুলুম ও নির্যাতন করেছে। এমনকি ইসলামের দাওয়াত মাহফিলেও তারা বাধা দিয়েছে। এ মন্তব্য করেছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আলতাফ হোসেন চৌধুরী।

মির্জাগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী চৈতা দরবার শরীফের মরহুম পীরে কামেল ইউনুস (রহ.)-এর মাজার জিয়ারত শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকাকালে আলেমদের মাহফিল করার অনুমতি নিতে হয়েছে। অনুমতি না নিলে অনেক মাহফিল থেকে আলেমদের পুলিশ দিয়ে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দেয়া হয়েছে। নির্যাতন করা হয়েছে। তিনি প্রশ্ন তোলেন, আওয়ামী লীগ কেন এত আলেমকে হত্যা করেছে? কেন শাপলা চত্বরে হেফাজতের আলেমদের গুলি করে রক্তাক্ত করা হয়েছে? তিনি বলেন, এর একটাই কারণ, ইসলামকে দুর্বল করা। তবে আওয়ামী লীগ সফল হয়নি। তারা নিজেরাই আস্তাকুঁড়ে নিক্ষিপ্ত হয়েছে।

আরও পড়ুন>>>ধানমন্ডির বিতর্কিত সম্পত্তিতে স্থিতাবস্থা

বিএনপির এ নেতা আরও বলেন, আওয়ামী লীগ ৫৩ বছর ধরে ভারতের দালালি করেছে। তারা ভারতের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করেছে। কিন্তু সফল হতে পারেনি। দেশ থেকে পালিয়ে গিয়ে তারা ভারতেই আশ্রয় নিয়েছে। কলকাতায় তাদের একটি অফিসও আছে। সেখান থেকে তারা বাংলাদেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আওয়ামী লীগ আনসার, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মাধ্যমে ১২৪ বার ক্যু করার চেষ্টা করে। কিন্তু সফল হয়নি।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিএনপি একটি ইসলামবান্ধব দল। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো আইন করবে না। ইসলামের শিক্ষা ব্যবস্থার আরও উন্নতি হবে। আলেম-উলামাদের ওয়াজ মাহফিল করতে কোনো সমস্যা হবে না।

তিনি বলেন, ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপির ২৭ হাজার নেতাকর্মীকে জেলে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে তাদের মন্ত্রী, এমপি বা রাষ্ট্রদূত হওয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোনো নেতাকর্মীই সে প্রস্তাবে রাজি হননি। আগামী ১০০ বছরেও তারা বিএনপির কোনো ক্ষতি করতে পারবে না।

সাবেক এইমন্ত্রী আরও বলেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চায়না, ওয়ার্ল্ড ব্যাংক এবং আইএমএফ-এর কাছে ভিক্ষা চাইতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দুর্নীতি ও ফ্যাসিবাদের কারণে তিনি খালি হাতে ফিরে এসেছেন। তিনি ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের প্রশংসা করে বলেন, চায়না ও ওয়ার্ল্ড ব্যাংক তাকে আর্থিক খাতে পূর্ণ সমর্থন দিয়েছে।

আলতাফ হোসেন চৌধুরী বলেন, বিগত দিনে হাসিনা সরকার ধর্ম ও শিক্ষা ব্যবস্থাকে ধ্বংস করার জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বর্তমান সরকারের নেতাদের পালানোর বিষয়টি নিয়েও কথা বলেন। তিনি বলেন, সরকার প্রধান পালানোর সাথে সাথে স্পিকার, ৩০০ এমপি ও এমনকি মসজিদের ইমামও পালিয়েছেন। পৃথিবীর ইতিহাসে এমন নজির নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

মাজার জিয়ারতের পর দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন চৈতা দরবার শরীফের পীর সাহেব ছোট হুজুর আলহাজ্ব মাওলানা নুরুল হক খান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মাধবখালী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শাহীন চৌধুরীর পাশা, সাবেক সাব-রেজিস্টার সাদেকুল ইসলাম তালুকদার, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক জাওহার ইকবাল খান, মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মাওলানা আবদুস সাত্তার আকন, মাওলানা আব্দুল লতিফ, খলিলুর রহমান মাস্টার, আব্দুর রাজ্জাক মোল্লাসহ ইউনিয়ন বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়