Apan Desh | আপন দেশ

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৪:৩৬, ৮ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৮:২০, ৮ জুন ২০২৫

ঈদের দ্বিতীয় দিনেও চলছে পশু কোরবানি

ছবি সংগৃহীত

পবিত্র ঈদের দ্বিতীয় দিনে রোববার (০৮ জুন) সকাল থেকেই রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় পশু কোরবানি চলছে। আগের দিন যারা নানাবিধ কারণে কোরবানি দিতে পারেননি, তারা ঈদ উল আজহার মূল এ আনুষ্ঠানিকতায় সামিল হচ্ছেন। 

ঈদের ছুটিতে ফাঁকা রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে পশু কোরবানির এ দৃশ্য মিলেছে। বিভিন্ন এলাকার বাসা-বাড়ির সামনে কিংবা সংলগ্ন রাস্তার ওপরে কোরবানি দিয়েছেন অনেকেই।

ধর্মীয় দিক থেকে ঈদ উল  আজহার দ্বিতীয় দিন অর্থাৎ ১১ জিলহজও কোরবানির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। ইসলামের বর্ণনায় এ দিনটি মর্যাদাপূর্ণ বলে উল্লেখ রয়েছে। মহানবী হযরত মোহাম্মদ (সা.) বলেছেন, আল্লাহর কাছে সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ দিন হলো কোরবানির দিন, এবং এরপরের দিনটি। শরিয়ত অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ জিলহজ- মোট তিন দিন কোরবানি করার বিধান রয়েছে। এ সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন কোরবানি দেয়া বৈধ। তবে প্রথম দিন কোরবানি করা সবচেয়ে উত্তম। সময়মতো কোরবানি না হলে তার পরিবর্তে সদকা করারও নির্দেশ রয়েছে। তাই অনেকেই আজও কোরবানি করছেন। 

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শনিবার ঈদের দিনের ব্যস্ততা ও চাপের কারণে অনেকেই কোরবানি দিতে পারেননি। কসাই কিংবা পশু কোরবানির সামগ্রীর সংকটও ছিল। সময় ও প্রস্তুতি ছিল না অনেকের। কারও কারও গরু হাট থেকে বাড়ি পৌঁছেছে ঈদের দিন রাতে। এসব কারণে যারা কোরবানি করতে পারেননি, রোববার দ্বিতীয় দিনে তারাই পশু কোরবানি করছেন। 

রাজধানীর তেজগাঁও, ফার্মগেট, টিকাটুলী, মুগদা, রামপুরা ও বাসাবো এলাকা ঘুরে ঈদের দ্বিতীয় দিনে পশু কোরবানির চিত্র চোখে পড়েছে। তবে সংখ্যায় কম ছিল। ঈদের পরদিন কোরবানি দেয়াটা এসব এলাকার ঐতিহ্য বলে জানান কেউ কেউ। 

পুরান ঢাকার বংশাল এলাকায় কয়েকটি বাসার সামনে পলিথিন টানিয়ে পশু কোরবানির প্রস্তুতি চলছে। আবার অনেকেই ইতোমধ্যে পশু কোরবানি সম্পন্ন করেছেন। রাস্তার পাশে কয়েকজন তরুণ মাংস কাটছেন, পাশে দাঁড়িয়ে কসাই নির্দেশনা দিচ্ছেন। কিছু দূরে শিশু-কিশোররা দাঁড়িয়ে কোরবানির দৃশ্য দেখছে। লালবাগের বেশ কিছু রাস্তায়ও একই চিত্র দেখা যায়।

শেওড়াপাড়া পীরেরবাগ রোডের একপাশে পশু কোরবানির দৃশ্য চোখে পড়েছে। 

রামপুরা এলাকার আলম গোসেন বলেন, তারা যে  কসাইকে দিয়ে গোস্ত বানা তিনি ঈদের দিন কয়েকটি জায়গায় কাজ নিয়ে ফেলেছিল। শেষ পর্যন্ত আমাদের সময় হয়নি। তাই আজ সকালে নিজেরাই জবাইয়ের ব্যবস্থা করেছি।

তেজগাঁওয়ের বাসিন্দা মোহাম্মদ রফিক বলেন, আমাদের কোরবানি কালই করেছি। কিন্তু আজ এক প্রতিবেশীর কোরবানিতে সহায়তা করছি।

অন্যদিকে, আজও পরিচ্ছন্নতা রক্ষায় সিটি করপোরেশনের তৎপরতা দেখা গেছে। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন জানিয়েছে, কোরবানির দ্বিতীয় দিনেও পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চলছে। 

ডিএনসিসির পরিচ্ছন্নতা বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, যেসব এলাকায় আজ কোরবানি হচ্ছে, সেখানে আমরা নির্ধারিত পয়েন্টে কর্মী পাঠিয়ে বর্জ্য অপসারণ করছি। ঈদের তিন দিনই আমরা মাঠে থাকব।

আপন দেশ/এবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়