এনসিপির আহবায়ক মো. নাহিদ ইসলাম
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহবায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, আমরা আজ কলি হয়ে আছি। ইনশাল্লাহ, যদি আপনারা আমাদের সঙ্গে থাকেন, আমরা একদিন ফুটবই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এনসিপির পেজে প্রকাশিত এক ভিডিও বার্তায় তিনি এসব কথা বলেন।
রোববার (৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে দেয়া সে পোস্টে নাহিদ বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জন্য এনসিপি অনেক লড়াই করে একটা সুন্দর প্রতীক জয় করে নিয়ে এসেছে, সেটি হচ্ছে শাপলাকলি। এটি আমাদের আপামর গ্রাম বাংলার প্রতিচ্ছবি, আমাদের নদীময় সভ্যতার প্রতীক শাপলাকলি শুভ্রতার প্রতীক।
তিনি বলেন, আপনি হয়ত কখনো ভাবেননি রাজনীতিতে আসবেন। রাজনীতি আপনার কাছে হয়ত একটা ভয়ের বিষয় ছিল। হয়ত অনেক দূরের একটা বিষয়। আপনি মনে করেন রাজনীতি টাকাওয়ালাদের বিষয়। যাদের অনেক লোকবল আছে, রাজনীতি তাদের জন্য। কিন্তু এ রাজনীতি আপনার জীবন ধারা পরিবর্তন করে দেয়, কীভাবে তা পরিচালিত হবে? সরকার কীভাবে পরিচালিত হবে? একটা রাষ্ট্র কোন দিকে এগোবে। ফলে রাজনীতিকে যে ঘৃণা করা, রাজনীতি থেকে দূরে থাকা, এ জায়গা থেকে আমরা এবার সরে আসতে চাচ্ছি।
এনসিপি আহবায়ক বলেন, আমরা দেখেছি গণ-অভ্যুত্থানে রাজনীতিবিদরা এসে কিন্তু লড়াইটা করেনি। রাজনীতিবিদদের সঙ্গেও সাধারণ মানুষেরা এসেছেন। ফলে আপনার কাছে যদি দেশ বদলের অঙ্গীকার থাকে সে ধরনের পরিকল্পনা থাকে আপনি এবার আসুন। রাজনীতিকে জয় করুন। রাজনীতিকে নিজের করে নিন। রাজনীতিকে আমরা আর চাই না। যে রাজনীতি কেবল সে টাকাওয়ালা লুটেরা ব্যবসায়ীদের কাছে থাকবে না, চাঁদাবাজদের হাতে থাকবে না, রাজনীতি হবে সাধারণ মানুষের, সাধারণ জনগণের।
আরও পড়ুন<<>>আজ শহীদ নূর হোসেন দিবস
তিনি আরও বলেন, জনগণের ভোট নিয়ে জনপ্রতিনিধিরা সংসদ ভবনে আসে। আমরা এ সংসদ ভবনকে দখলমুক্ত করেছিলাম ৫ আগস্টে। যে সংসদ ভবন জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছিল। জনগণের প্রতিনিধিরা এখানে ছিল না। এ সংসদ ভবনকে ব্যবহার করে আমাদের সংবিধানকে কুক্ষিগত করা হয়েছিল। আমাদের রাষ্ট্রকে দলীয়করণ করা হয়েছিল। এইসবকিছু থেকে মুক্ত করতেই কিন্তু আমরা ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে এসেছিলাম। সামনেই নির্বাচন হবে। আমরা ৫ আগস্টের পরে পুরা সময়টা ধরে নানা কমিশন ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে দেশের সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা করেছি।
এনসিপির এ নেতা বলেন, বাংলাদেশের কোথায় কী সমস্যা সে সমস্যাগুলোকে আইডেন্টিফাই করা হয়েছে। একটা ঐকমত্যের জায়গায় এসেছে। তবে সবকিছুই নির্ভর করবে এ সংসদের উপরে। এ সংসদ একটি সংস্কার পরিষদ সভা হবে। যেখানে আমরা যে পরিবর্তনের কথাগুলো বলেছি সে পরিবর্তন গুলা বাস্তবায়িত হবে। ফলে এবারের সংসদ বাংলাদেশের ইতিহাসের যে কোনো সংসদের থেকে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
