Apan Desh | আপন দেশ

আজ আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস 

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১০:৫৮, ১৬ নভেম্বর ২০২৫

আজ আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস 

ছবি: সংগৃহীত

আজ ১৬ নভেম্বর, রোববার আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস। বিশ্বজুড়ে পালিত হচ্ছে দিবসটি। এ দিবস পালনের উদ্দেশ্য, সমাজে ভিন্ন ধর্ম, সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে মানুষকে আরও সচেতন করা। একই সঙ্গে অসহিষ্ণুতা, বৈষম্য ও বিদ্বেষের ঝুঁকি সম্পর্কে বিশ্ববাসীকে সতর্ক করাও এ দিবসের অন্যতম লক্ষ্য। 

আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস উদযাপনের উদ্দেশ্য হলো—সহনশীলতার নীতি সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করা। এ দিন পালিত হয় অন্যের সংস্কৃতি, ধর্ম এবং ঐতিহ্যকে সম্মান করার এবং সমাজে অসহিষ্ণুতা ও বৈষম্যের ঝুঁকি অনুধাবন করার জন্য।

১৯৯৫ সালের ১৬ নভেম্বর জাতিসংঘের শিক্ষা, বৈজ্ঞানিক ও সাংস্কৃতিক সংস্থার (ইউনেস্কো) সদস্য রাষ্ট্রগুলো ‘সহনশীলতা নীতির ঘোষণাপত্র’টি সর্বসম্মতিক্রমে গ্রহণ করে। ওই ঘোষণায় মানুষকে সহনশীলতার মূল্যবোধ ও গুরুত্ব সম্পর্কে সজাগ করার জন্য এ বিষয়ে একটি আন্তর্জাতিক দিবস উদযাপনের আহবান জানানো হয়। সে অনুযায়ী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৯৯৬ সালে ৫১/৯৫ নম্বর প্রস্তাবটি গ্রহণের মাধ্যমে ১৬ নভেম্বরকে আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবস হিসেবে ঘোষণা করে।

আরও পড়ুন<<>>নির্বাচন ঘিরে মাঠে থাকবে ৯ দিনের বিশেষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী

ইউনেস্কো মনে করে, মানবসমাজ স্বাভাবিকভাবেই বৈচিত্র্যময় এবং এ বৈচিত্রময় পৃথিবীতে ভিন্ন মত সম্প্রদায়ের মধ্যে ভাবের আদান-প্রদান ও সম্প্রীতি নিশ্চিত করতে মানুষের মধ্যে সহনশীল মনোভাব প্রয়োজন। সমাজে বিভিন্ন ধর্ম, ভাষা, সংস্কৃতি ও জাতিসত্তার উপস্থিতি সংঘাতের পথকে প্রশস্ত করে না। বরং সহনশীল পরিবেশ এ সামাজিক বাস্তবতাকে সঠিক পথে পরিচালনার মাধ্যমে সমাজের অন্তর্নিহিত সক্ষমতা বাড়ায়।
 
সহনশীলতার মৌলিক নীতি ঘোষণায় বলা হয়েছে, প্রয়োজন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করে সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে সহনশীলতাকে বাস্তবায়ন করা উচিত। সহনশীলতা হচ্ছে সবার অর্থনৈতিক ও সামাজিক মর্যাদাকে উন্নত করার অপরিহার্য নীতি।

১৬ নভেম্বরের আন্তর্জাতিক সহনশীলতা দিবসটি কেবল একটি স্মরণীয় তারিখ নয় — এটি একটা বার্তা: বৈচিত্র্যকে গ্রহণ করা মানে ন্যায়, মানবাধিকার ও সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বাস্তবে এ লক্ষ্য অর্জন করতে হলে শিক্ষায় বিনিয়োগ, শক্তিশালী রিপোর্টিং মেকানিজম, মতবৈচিত্র্যের জন্য নিরাপদ স্থান সৃষ্টি এবং সংকটকালে সম্মিলিত প্রতিক্রিয়া দরকার — আর এ প্রয়োজনীয়তা আজকের পরিসংখ্যানে পরিষ্কারভাবে প্রতিফলিত। UNESCO-এর নির্দেশিকায় উল্লিখিত অনুশীলনগুলো প্রয়োগ করলে দেশের স্তরে ও আন্তর্জাতিকভাবে সহনশীলতা বাড়ানো সম্ভব — ১৬ নভেম্বর সে সচেতনতার পুনরাবৃত্তি এবং কর্মসূচি গ্রহণের উপযুক্ত সময়।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়