ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়ক (বায়ে) ও ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়ক। ছবি: আপন দেশ
ঈদে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ঘরমুখো মানুষ। ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে অতিরিক্ত গাড়ির চাপ। থেমে থেমে চলছে গাড়ি। অন্তত ২২ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে ওই এলাকায়। আর উল্টোটা ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের। সকাল থেকেই এখানে সড়ক ফাঁকা। কোনো যানজট নেই।
বৃহস্পতিবার (০৫ জুন) ভোর থেকে মহাসড়কের টাঙ্গাইলের অংশে আশেরপুর বাইপাস থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত এ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। এতে ঈদে ঘরমুখো মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন।
এদিকে মহাসড়কে যানজটের কারণে সকাল থেকে যমুনা সেতু দিয়ে শুধু উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। তবে পুলিশ বলছে যানজট নিরসনে তারা কাজ করছে।
টাঙ্গাইলের পুলিশ জানায়, হঠাৎ মহাসড়কে অতিরিক্ত যানবাহনের চাপ সৃষ্টি হয়। এতে যমুনা সেতু দিয়ে সিরাজগঞ্জ অংশে গাড়িগুলো ঠিক মতো পাস হতে পারছে না। যার কারণে মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে এলেঙ্গা হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ আপন দেশ প্রতিনিধিকে বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির কারণে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। তবে যানজট নিরসন আমরা নিরসলভাবে কাজ করছি।
বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষের যমুনা সেতু সাইট অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসানুল কবির পাভেল বলেন, অতিরিক্ত গাড়ির চাপের কারণে সকাল থেকে যমুনা সেতু দিয়ে উত্তরবঙ্গগামী যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন<<>> আরাফাতের ময়দানে সমবেত মুসল্লিরা, হজের দ্বিতীয় দিন আজ
অন্যদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার দাউদকান্দি ভোগান্তি ছাড়াই পার হচ্ছেন ঈদে ঘরমুখো যাত্রীরা। সকাল থেকেই এখানে সড়ক ফাঁকা। কোনো যানজট নেই।
যেকোনো ছুটি বা উৎসবে সাধারণত মহাসড়কের দাউদকান্দি অংশে যানজট শুরু হয়। যানবাহনের চাপ বাড়ায় বুধবার (০৪ জুন) সকাল ৮টায় চট্টগ্রামগামী লেনে দাউদকান্দির গৌরীপুর বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত প্রায় ২৯ কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়। অবশ্য পরে ধীরে ধীরে যানজট কমে যায়। বুধবার রাতে কিছুটা যানজট হলেও সকালে তা দূর হয়ে যায়।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।
