
ছবি: সংগৃহীত
সকাল-সন্ধ্যা ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচিতে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে রাজধানী। কোটা ব্যবস্থা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা সারা দেশে চালিয়ে যাচ্ছেন এ কর্মসূচি। বুধবার (১০ জুলাই) সকাল ১০টা থেকে রাস্তায় নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। তবে বিকেল ৫ টার পর ট্রেন চলাচলে ছাড় দেয়। সন্ধা নাগাদ কিছু স্থানে বাস চলাচল শুরু হয়েছে।
কর্মসূচির অংশ হিসেবে এদিন সকাল থেকে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টসহ রেললাইন অবরোধ করে রাখে আন্দোলনকারীরা। রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়। এর প্রভাব পড়েছে প্রতিটি পাড়া-মহল্লার অলিগলিতে। এতে জনদুর্ভোগ পৌঁছেছে চরমে।
কোটা নিয়ে হাইকোর্টের রায়ে স্থিতাবস্থার প্রতিক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা বলেন, দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবেই।
বসুন্ধরায় ভারতীয় ভিসা সেন্টারে ভিসার আবেদন করে লালবাগে ফিরছিলেন মো. ইউনুস। বাইক নিয়ে আটকা পড়েছেন কারওয়ান বাজার মোড়ে। তিনি বলেন, সরকার শিক্ষার্থীদের দাবির সমাধান করলেই হয়। মাঝখান দিয়ে আমাদের ভোগান্তি হচ্ছে কয়েক দিন ধরেই।
সরেজমিনে দেখা গেছে, শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের সুযোগ নিচ্ছেন রিকশাচালক, সিএনজিচালক, রাইড শেয়ারিং করা মোটরসাইকেল চালকরা। ২০০ টাকার ভাড়া চাচ্ছেন ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা। কেউ আবার সাড়ে ৫০০ থেকে সাড়ে ৬০০ টাকাও চাচ্ছেন। অস্বাভাবিক ভাড়ার চাপে বিপর্যস্ত রাজধানীর সাধারণ মানুষ।
দুপুরের দিকে কারওয়ান বাজারে রেলপথও অবরোধ করে শিক্ষার্থীরা। ফলে ঢাকা থেকে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।
এদিকে সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের পরিপত্র ‘অবৈধ’ ঘোষণা করে হাইকোর্ট। সে রায়ের ওপর চার সপ্তাহর স্থিতাবস্থা দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে কোটা বাতিল করে ২০১৮ সালে জারি করা পরিপত্রটি বহাল থাকছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন ।। খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত,আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।