Apan Desh | আপন দেশ

নাইজেরিয়ায় মার্কিন-সমর্থিত বিমান হামলা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯:০০, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৫

নাইজেরিয়ায় মার্কিন-সমর্থিত বিমান হামলা

সংগৃহীত ছবি

নাইজেরিয়া সরকার জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনে চালানো বিমান হামলায় দেশটির সোকোটো অঙ্গরাজ্যের বাউনি অরণ্যে আইএস-সংশ্লিষ্ট দুটি ঘাঁটি বিধ্বস্ত হয়েছে। এসব ঘাঁটিতে সাহেল অঞ্চল থেকে অনুপ্রবেশ করা বিদেশি যোদ্ধারা অবস্থান করছিল। 

সরকারি বিবৃতিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) চালানো এসব হামলার অনুমোদন দেন প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবু। ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।

ব্যাপক গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ, অপারেশনাল পরিকল্পনা ও নজরদারির পর গালফ অব গিনিতে অবস্থানরত সামুদ্রিক প্ল্যাটফর্ম থেকে এসব হামলা চালানো হয়।

এর আগে বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশালে জানান, নাইজেরিয়ার সরকারের অনুরোধে যুক্তরাষ্ট্রের বাহিনী উত্তর-পশ্চিম নাইজেরিয়ায় ইসলামিক স্টেটের জঙ্গিদের বিরুদ্ধে হামলা চালিয়েছে। তিনি দাবি করেন, ওই গোষ্ঠীটি অঞ্চলটিতে খ্রিস্টানদের লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছিল।

নাইজেরিয়ার তথ্য মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, সাহেল করিডোর দিয়ে নাইজেরিয়ায় প্রবেশের চেষ্টা করা আইএস নিষ্ক্রিয় করতে এমকিউ-৯ রিপার চালকবিহীন আকাশযান ব্যবহার করে জিপিএস-নির্দেশিত মোট ১৬টি নির্ভুল অস্ত্র নিক্ষেপ করা হয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী এসব ঘাঁটি বিদেশি আইএস যোদ্ধাদের দ্বারা ব্যবহৃত হচ্ছিল, যারা স্থানীয় সহযোগীদের সঙ্গে মিলে নাইজেরিয়ার ভেতরে বড় ধরনের হামলার পরিকল্পনা করছিল। হামলায় কোনও বেসামরিক হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, যদিও সোকোটো ও কোয়ারা অঙ্গরাজ্যের দুটি শহরে ধ্বংসাবশেষ পড়েছে।

ট্রাম্প এ অভিযানকে একাধিক নিখুঁত হামলা হিসেবে বর্ণনা করেন ও সতর্ক করে বলেন, আরও হামলা আসছে।

এ অভিযান আবুজা ও ওয়াশিংটনের মধ্যে একটি বিরল যৌথ সামরিক পদক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে। সাহেল অঞ্চল থেকে দক্ষিণে ইসলামপন্থী সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষাপটে দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা জোরদারের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

সোকোটো অঙ্গরাজ্য সরকার হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে বাসিন্দাদের শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছে। এক বিবৃতিতে রাজ্য সরকার জানায়, চলমান অভিযানগুলো রাজ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং জানমাল রক্ষার লক্ষ্যে পরিচালিত হচ্ছে।

নাইজেরিয়া এক দশকেরও বেশি সময় ধরে ইসলামপন্থি বিদ্রোহের বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে আসছে। তবে আইএস-সংশ্লিষ্ট বিদেশি যোদ্ধাদের উপস্থিতি হুমকির মাত্রা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে বলে মনে করছে সরকার।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়