ফাইল ছবি
রাশিয়া ও দেশটির ঘনিষ্ঠ মিত্র বেলারুশ ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর সঙ্গে নতুন করে যোগাযোগ শুরু করেছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চাপ বাড়ার মধ্যেই বৃহস্পতিবার এ তৎপরতা দেখা যায়। এর ফলে মাদুরোর বিদেশে আশ্রয় নেয়ার সম্ভাবনা নিয়ে জল্পনা বাড়ছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এক সূত্র জানিয়েছে, ২১ নভেম্বর ট্রাম্পকে ফোন করে মাদুরো বলেছেন, তিনি ভেনেজুয়েলা ছাড়তে প্রস্তুত। তবে তার ও পরিবারের পূর্ণ আইনি দায়মুক্তি নিশ্চিত হতে হবে।
আরও পড়ুন<<>>ন্যাটোভুক্ত দেশে হামলার সতর্কতা ন্যাটো মহাসচিবের
বেলারুশের রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা বেলটার খবরে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো ১৭ দিনের মধ্যে দ্বিতীয়বার মস্কোয় নিযুক্ত ভেনেজুয়েলার রাষ্ট্রদূত হেসুস রাফায়েল সালাজার ভেলাসকেসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ২৫ নভেম্বর লুকাশেঙ্কো দূতকে বলেছেন, মাদুরোকে সব সময়ই বেলারুশের স্বাগত জানানো হবে এবং এখন তার সফরের উপযুক্ত সময়।
বেলটা জানায়, প্রথম বৈঠকে লুকাশেঙ্কো ও ভেলাসকেস সম্মত হয়েছিলেন কিছু বিষয়ে মাদুরোর সঙ্গে সমন্বয় করার জন্য। লুকাশেঙ্কো বলেন, কয়েকটি ইস্যু নিষ্পত্তির পর আপনারা আবার আমার কাছে আসবেন, যাতে আমরা আমাদের এখতিয়ারের মধ্যে উপযুক্ত সিদ্ধান্ত নিতে পারি। প্রয়োজনে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্টকেও এতে যুক্ত করা হবে।
মাদুরোকে আশ্রয় দেয়ার প্রশ্নে লুকাশেঙ্কোর দফতরে মন্তব্য চেয়ে রয়টার্স যোগাযোগ করলেও কোনও জবাব পাওয়া যায়নি।
এদিকে ক্রেমলিন জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার পুতিন ফোনে মাদুরোকে তার সরকারের পদক্ষেপের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, বাড়তে থাকা বাইরের চাপের মুখে জাতীয় স্বার্থ ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় মাদুরোর নীতি তিনি সমর্থন করেন।
ট্রাম্প প্রশাসন স্পষ্ট করে বলেছে, ২০১৩ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা মাদুরোকে তারা ভেনেজুয়েলার বৈধ প্রেসিডেন্ট হিসেবে মানে না। গত বছরের নির্বাচনকে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো ভুয়া ভোট হিসেবে বর্ণনা করেছে। স্বাধীন পর্যবেক্ষকদের মতে, ওই নির্বাচনে বিরোধীপক্ষ ব্যাপকভাবে জয়ী হয়েছিল।
গত কয়েক মাসে ট্রাম্প ভেনেজুয়েলার ওপর চাপ আরও বাড়িয়েছেন। বিশেষ করে ক্যারিবিয়ান অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাপক সামরিক শক্তি মোতায়েন তা আরও স্পষ্ট করেছে। পলিটিকো-কে দেয়া সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছেন, মাদুরোর সময় ফুরিয়ে আসছে। তবে তিনি ভেনেজুয়েলায় মার্কিন সেনা পাঠাবেন কি না, সে বিষয়ে কিছু বলেননি।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা বৃহস্পতিবার বলেছেন, আমরা আশা করি, হোয়াইট হাউজ সর্বাত্মক সংঘাতে গড়ানোর প্রবণতা থামাতে পারবে। এমন সংঘাত পশ্চিম গোলার্ধের জন্য অপ্রত্যাশিত পরিণতি ডেকে আনতে পারে।
বহু বছর মানবাধিকার রেকর্ড ও ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের পক্ষে অবস্থানের কারণে পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার মুখে থাকা লুকাশেঙ্কো সম্প্রতি ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে নতুন করে সংলাপে ফিরেছেন। যুক্তরাষ্ট্র তার বিরুদ্ধে কিছু নিষেধাজ্ঞা শিথিল করেছে। গত মাসে রাজনৈতিক বন্দিদের মুক্তির বিষয়ে আলোচনার জন্য বিশেষ দূত হিসেবে জন কোয়েলকে নিয়োগ দিয়েছে ওয়াশিংটন।
আপন দেশ/এসআর
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































