ছবি: সংগৃহীত
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় গেল সেপ্টেম্বরে মালয়েশিয়ায় শান্তি চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিল কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড। দুই মাস যেতে না যেতে আবারও সংঘাতে জড়িয়েছে তারা। এক সৈন্য নিহত হওয়ার জেরে কম্বোডিয়ায় বিমান হামলা চালিয়েছে থাইল্যান্ড। সোমবার (৮ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে সিএনএন।
কয়েক সপ্তাহ ধরে চলা উত্তেজনার মধ্যে উভয় দেশই সোমবার সকালে একে অপরের বিতর্কিত সীমান্তে পাল্টাপাল্টি হামলার অভিযোগ করেছে।
থাই সেনাবাহিনীর এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিশোধ নিতেই কম্বোডিয়ার সামরিক স্থাপনায় হামলা চালানো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, সোমবার কম্বোডিয়ার হামলায় একজন থাই সেনা নিহত ও দুইজন আহত হয়েছেন।
রোববার (০৭ ডিসেম্বর) দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার দুই প্রতিবেশী দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সি সা কেত প্রদেশ সীমান্তে গুলিবিনিময়ের ঘটনা ঘটে।
থাই সেনাবাহিনীর দেয়া তথ্য অনুযায়ী, স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে সীমান্তের থাই অংশ লক্ষ্য করে কম্বোডীয় বাহিনী গুলি ছোড়ে। এতে একজন থাই সেনার পায়ে গুলি লাগে এবং আরেকজন বুকে আঘাত পান। ঘটনার পর থাই সেনারাও পাল্টা জবাব দেয়। প্রায় আধাঘণ্টা—স্থানীয় সময় ২টা ৫০ মিনিট পর্যন্ত—উভয় পক্ষের মধ্যে সংঘাত স্থায়ী হয়।
আরও পড়ুন<<>>পাকিস্তানের হামলায় ২৩ আফগান সেনা নিহত
রোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জন্য বড় অঙ্কের অনুদান ঘোষণা দুই দেশেররোহিঙ্গা পরিবারগুলোর জন্য বড় অঙ্কের অনুদান ঘোষণা দুই দেশের
সংঘাত থামার পর থাইল্যান্ড দ্রুত সীমান্তবর্তী চার প্রদেশ—বুরি রাম, সুরিন, সি সা কেত ও উবন রাতচাথানি—থেকে কয়েক হাজার মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেয়।
এর কয়েক ঘণ্টা আগেই জাতিসংঘের কাছে কম্বোডিয়ার বিরুদ্ধে অভিযোগ জানায় থাইল্যান্ড। অভিযোগে বলা হয়, কম্বোডিয়া গোপনে থাই ভূখণ্ডের সীমান্ত এলাকায় বড় এলাকা জুড়ে ল্যান্ডমাইন পুঁতে রেখেছে, যার বিস্ফোরণে থাই ও চীনা নাগরিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিষয়টি তদন্তে জাতিসংঘের হস্তক্ষেপও চেয়েছিল ব্যাংকক।
অভিযোগ জানানোর অল্প সময়ের মধ্যেই সীমান্তে নতুন করে সংঘাত শুরু হওয়ায় পরিস্থিতি আরও জটিল হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
এর আগে, সীমান্ত নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধের জেরে ১৫ বছরের যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত জুলাই মাসে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের সংঘর্ষ হয়। পাঁচদিনের সে সংঘাতে দুই দেশের ৩২ জন নাগরিক প্রাণ হারান এবং কমপক্ষে ৩০ জন আহত হন। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় নতুন যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
সাম্প্রতিক ঘটনার পর দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক যোগাযোগ জোরদার করা প্রয়োজন বলে আঞ্চলিক পর্যবেক্ষকদের মত।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































