Apan Desh | আপন দেশ

ফের চোখ রাঙাচ্ছে প্রাণঘাতী ছোঁয়াচে ভাইরাস 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৭, ১৫ নভেম্বর ২০২৫

ফের চোখ রাঙাচ্ছে প্রাণঘাতী ছোঁয়াচে ভাইরাস 

ছবি: সংগৃহীত

বছর দুয়েক আগে আফ্রিকার দেশ তানজানিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল প্রাণঘাতী ছোঁয়াচে ভাইরাস মারবুর্গ। সেসময় এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে শত শত মানুষের মৃত্যু হয়েছে। সম্প্রতি আফ্রিকার ইথিওপিয়া প্রথমবারের মতো মারবুর্গ ভাইরাস রোগের প্রাদুর্ভাব নিশ্চিত করেছে। দেশের দক্ষিণে মোট ৯টি রোগী শনাক্ত হয়েছে। 

শুক্রবার (১৪ নভেম্বর) বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা – ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেড্রোস আধানম গেব্রেসাস বলেন, ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এবং অন্যান্য সংস্থার দ্রুত পদক্ষেপ খুবই প্রশংসনীয়। তিনি বলেন, এ দ্রুত পদক্ষেপ দেখায় যে দেশটি খুব গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করছে এবং অল্প সময়ের মধ্যে প্রাদুর্ভাব নিয়ন্ত্রণে আনতে চায়।

এর এক দিন আগে ডব্লিউএইচও জানায় যে ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা ভাইরাল হেমোরেজিক জ্বরের সন্দেহে কয়েকটি ঘটনা তদন্ত করছিলেন। পরে নিশ্চিত করা হয় যে এটি মারবুর্গ ভাইরাস। এ ভাইরাস ইবোলা পরিবারের ফিলোভিরিডি নামের গ্রুপের সদস্য। বিশেষজ্ঞরা বলেন যে এটি ইবোলার চেয়েও বেশি গুরুতর।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের রোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা সিডিসি জানায় যে মারবুর্গ একটি ‘দুর্লভ কিন্তু মারাত্মক’ হেমোরেজিক জ্বর। এটি অনেক সময় প্রাণঘাতী হয়। ভাইরাসটি প্রথম আসে মিশরের ফলখেকো বাদুড় থেকে। একজন আক্রান্ত ব্যক্তির শরীরের তরল বা সে তরলে দূষিত বস্তু, যেমন জামাকাপড় বা বিছানার চাদর ছুঁলেই এটি ছড়াতে পারে।

আরও পড়ুন<<>> ভারত নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরে থানায় বিস্ফোরণ, নিহত ৭

রোগের উপসর্গের মধ্যে জ্বর, চামড়ায় র‍্যাশ এবং তীব্র রক্তক্ষরণ দেখা যায়। সিডিসি জানায় যে মারবুর্গের কোনো নির্দিষ্ট ওষুধ বা টিকা নেই। চিকিৎসা সীমিত সহায়তামূলক পরিচর্যা, বিশ্রাম এবং শরীরে পানি ধরে রাখার ওপর নির্ভর করে।

ইথিওপিয়ার ওমো অঞ্চলে এ প্রাদুর্ভাব হয়। এলাকা দক্ষিণ সুদানের কাছে হওয়ায় উদ্বেগ বেড়েছে। আফ্রিকা সিডিসি’র মহাপরিচালক জ্যাঁ কাসেয়া বলেন, দক্ষিণ সুদান খুব দূরে নয় এবং তাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল। তাই ঝুঁকি বাড়তে পারে।

সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে আফ্রিকার আর কোনো দেশে মারবুর্গের ঘটনা পাওয়া যায়নি। ডব্লিউএইচও প্রধান টেড্রোস বলেন, জাতিসংঘ সংস্থা ‘ইথিওপিয়াকে সক্রিয়ভাবে সহায়তা করছে। আমরা আক্রান্তদের চিকিৎসায় সহায়তা করছি এবং সীমান্ত এলাকায় সম্ভাব্য ছড়ানোর ঝুঁকি কমাতে কাজ করছি।

ইথিওপিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায় যে আক্রান্তরা কোয়ারেন্টাইনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। যাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে তাদের শনাক্ত করার কাজ চলছে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবে সচেতনতা বাড়ানো হচ্ছে এবং ব্যাপক স্ক্রিনিং চালানো হচ্ছে। মন্ত্রণালয় মানুষকে শান্ত থাকতে, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের নির্দেশনা মানতে এবং রোগের লক্ষণ দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসা নিতে অনুরোধ করেছে।

আপন দেশ/জেডআই

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ
SS Power

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়