
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েল অবরুদ্ধ গাজায় জাতিগত নিধন চালাচ্ছে বলে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছে জাতিসংঘ। এ ঘোষণার পর গাজা সিটিতে নতুন করে স্থল অভিযান শুরু করেছে দখলদার বাহিনী। এ অভিযানের বিষয়ে কড়া হুঁশিয়ারি দিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাস।
গাজার শাসক গোষ্ঠিটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, গাজা সিটিতে ইসরায়েলি আগ্রাসন ‘অভূতপূর্ব’ এবং ‘বর্বরতাপূর্ণ’। সশস্ত্র সংগঠনটি জানিয়েছে, শহরে প্রত্যক্ষ করা অভূতপূর্ব বর্বর জায়নিস্ট আগ্রাসন ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে চলমান 'পদ্ধতিগত গণহত্যার' নতুন অধ্যায় ছাড়া আর কিছু নয়।
হামাস আরও বলেছে, এ হামলার সম্পূর্ণ দায়ভার যুক্তরাষ্ট্রের ওপর বর্তায়। এসব অপরাধ আন্তর্জাতিক সব নিয়ম ও আইন লঙ্ঘন করেছে। এগুলো যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের প্রকাশ্য রাজনৈতিক ও সামরিক ছত্রচ্ছায়ায় সংঘটিত হচ্ছে। আমরা যুক্তরাষ্ট্রকে গাজায় সংঘটিত গণহত্যা ও জাতিগত নির্মূলের মূল সহযোগী হিসেবে বিবেচনা করি।
সংগঠনটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে, বিশেষ করে আরব ও ইসলামি দেশগুলোর সম্মেলনে ইসরায়েলকে যুদ্ধ বন্ধ করতে বাধ্য করার আহবান জানিয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে আল জাজিরা জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনাবাহিনী গাজা সিটির ওপর গত দুই বছরের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ হামলা চালিয়েছে। বোমা ও গুলিবর্ষণের মধ্যে হাজারো মানুষ শহর ছেড়ে পালাচ্ছেন, অনেকেই আশঙ্কা করছেন হয়তো আর কখনো ফিরে যেতে পারবেন না। জাতিসংঘ মহাসচিব এ হামলাকে “ভয়ঙ্কর” হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
আরও পড়ুন<<>>ইতিহাসের সর্বোচ্চ চূড়ায় স্বর্ণের দাম
গত ২৪ ঘন্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৯১ ফিলিস্তিনি নিহত হন। দেশটির স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানায়, উপকূলীয় সড়ক ধরে পালানোর সময় একদল মানুষের গাড়িতেও হামলা চালানো হয়। সেদিন অন্তত ১৭টি আবাসিক ভবন ধ্বংস হয়। এর মধ্যে পূর্ব গাজার তুফফাহ এলাকার আইবাকি মসজিদকে লক্ষ্য করে বিমান হামলা চালানো হয়।
একই সঙ্গে উত্তরে, দক্ষিণে ও পূর্বে বিস্ফোরক বোঝাই রোবট দিয়ে ধ্বংসযজ্ঞ চালায় সেনারা। এ মাসের শুরুতে মানবাধিকার সংগঠন ইউরোমেড মনিটর জানিয়েছিল, অন্তত ১৫টি এমন রোবট মোতায়েন করা হয়েছে, প্রতিটি দিয়ে প্রায় ২০টি বাড়ি ধ্বংস করা সম্ভব।
আল জাজিরা বলছে, প্রায় ১০ লাখ ফিলিস্তিনি যুদ্ধের প্রথম ধাপ শেষে ধ্বংসস্তূপে ভরা গাজা সিটিতে ফিরে এসেছিলেন। তবে এখন কতজন রয়ে গেছেন তা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, গাজা সিটিতে তারা নতুন ও সম্প্রসারিত স্থল অভিযান শুরু করেছে। ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের মতে, এটি হামাসের শেষ কয়েকটি ঘাঁটির একটি। অবরুদ্ধ গাজার এ অঞ্চলে এতদিন ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) পুরোপুরি প্রবেশ করেনি।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।