Apan Desh | আপন দেশ

ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানের হামলা, নিহত ৩

আন্তর্জাতিক ডেস্ক    

প্রকাশিত: ১২:০৫, ১৭ জুন ২০২৫

আপডেট: ১৬:০৮, ১৭ জুন ২০২৫

ইসরায়েলের তেল শোধনাগারে ইরানের হামলা, নিহত ৩

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের হাইফা শহরে রাতভর ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় বিধ্বস্ত হয়েছে ইসরায়েলের সবচেয়ে বড় তেল শোধনাগার। এ ঘটনায় তিনজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই শহরের উত্তরে অবস্থিত বাজান তেল শোধনাগার কমপ্লেক্সে কর্মরত ছিলেন।

সোমবার (১৬ জুন) সন্ধ্যায় এ তথ্য প্রকাশের অনুমতি দেয়া হয় বলে জানিয়েছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম। খবর টাইমস অব ইসরায়েলের। 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার ভোররাতে একাধিক ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় হাইফাসহ পেতাহ টিকভা ও বনে ব্রাক শহরে প্রাণহানি ঘটে। পেতাহ টিকভায় চারজন ও বনে ব্রাকে একজন নিহত হন।

হাইফা শহরের মেয়র ইয়োনা ইয়াহাভ প্রথমে জানান, তিনজন নিহত হয়েছেন একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়, তবে তখন তিনি ওই স্থানটির নাম প্রকাশ করেননি। পরে জানা যায়, লক্ষ্য ছিল বাজান তেল শোধনাগার।

ক্ষেপণাস্ত্র হামলার পরপরই কমপ্লেক্সটিতে অগ্নিকাণ্ড ঘটে, যা উদ্ধার তৎপরতাকে জটিল করে তোলে। হারেৎজ পত্রিকার মতে, নিহত তিনজন সরাসরি ক্ষেপণাস্ত্র আঘাতে নিহত হননি, বরং আগুন ও ধোঁয়ায় শ্বাসরুদ্ধ হয়ে মারা যান।

উদ্ধারকারীরা প্রথমদিকে তাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতে সক্ষম হলেও, পরে সে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। ধারণা করা হচ্ছে, অতিরিক্ত তাপ ও শ্বাসরুদ্ধ অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়েছে।

তাদের পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি, তবে সবাই হাইফা ও আশপাশের ক্রাইয়ট এলাকার বাসিন্দা বলে জানা গেছে। ওই সময় আরও দুই কর্মী সেখানে ছিলেন, যারা হালকা আহত হয়ে প্রাণে রক্ষা পান।

বাজান তেল শোধনাগার কমপ্লেক্স হাইফা উপসাগরের অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ এলাকায় অবস্থিত। এই স্থাপনাটি বহু বছর ধরে ইসরায়েলের শত্রুদের হুমকির মধ্যে রয়েছে, যার মধ্যে আছে ইরানের হিজবুল্লাহও।

২০২২ সালে ইসরায়েল সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, ২০৩০ সালের মধ্যে এ তেল শোধনাগার সরিয়ে নেয়া হবে। চলতি বছর থেকেই শোধনাগারের পাশে থাকা বড় তেল ট্যাংক সরানোর কাজ শুরু হওয়ার কথা।

হাইফা শহরের মেয়র ইয়াহাভ সোমবার আর্মি রেডিওকে বলেন, সরকারের এখন সাহস দেখানোর সময় এসেছে। এ কারখানাগুলোকে আবাসিক এলাকা থেকে সরাতে হবে।

হাইফার বাসিন্দা ও পরিবেশবাদীরা বহুদিন ধরে এই তেল শোধনাগার বন্ধ ও সরিয়ে নেওয়ার দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। তাদের আশঙ্কা, এরকম স্থাপনায় হামলা হলে পরিবেশ ও মানবজীবনে বিপর্যয় নেমে আসবে। এবার সেই আশঙ্কাই সত্যি হলো।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়