প্রতীকী ছবি
মানুষের চোখের মনি স্বাভাবিক অবস্থায় আলো, আবেগ, ব্যথা ও স্নায়ুতন্ত্রের নির্দেশ অনুযায়ী বড়-ছোট হয়। কিন্তু মাথায় আঘাতের পর এ স্বাভাবিক নিয়ন্ত্রণ ব্যাহত হতে পারে। বিশেষ করে তীব্র আঘাতের ক্ষেত্রে মস্তিষ্কের ভেতর চাপ দ্রুত বেড়ে যায়। এ চাপ মস্তিষ্কের বিভিন্ন অংশ—বিশেষত চোখের নড়াচড়া ও মণির আকার নিয়ন্ত্রণকারী অকুলোমোটর স্নায়ুকে প্রভাবিত করে।
যখন এ স্নায়ু চাপে পড়ে বা আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়, তখন চোখের মনি আর সংকুচিত হতে পারে না এবং বেশি বড় বা প্রসারিত হয়ে থাকে।
কেন এটি বিপজ্জনক সংকেত?
মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ বা ফুলে ওঠা
মাথায় আঘাতের পর ভেতরে রক্ত জমে গেলে বা টিস্যু ফুলে গেলে মস্তিষ্কের ওপর চাপ তৈরি হয়, যা মণি প্রসারণ ঘটাতে পারে।
স্নায়ু ক্ষতি
চোখের মনি যেই স্নায়ুর মাধ্যমে সংকুচিত হয়, সে স্নায়ুর ক্ষতি হলে মনি স্বাভাবিক আকারে ফিরতে পারে না।
হাইপারঅ্যাকটিভ সিমপ্যাথেটিক রেসপন্স
তীব্র ব্যথা বা শকে শরীর ‘ফাইট অথবা ফ্লাইট’ অবস্থা তৈরি করে, যার ফলে সাময়িকভাবে মনি বড় হতে পারে।
আরও পড়ুন<<>>ক্যানসারের ঝুঁকি কমায় পেঁয়াজ-রসুন
এক চোখে বড় মনি
যদি এক চোখের মনি বড় হয় আর অন্যটি স্বাভাবিক থাকে, এটি সাধারণত গুরুতর আঘাতের লক্ষণ এবং জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজন হয়।
অন্য সম্ভাব্য কারণ
যদিও মাথায় আঘাত একটি বড় কারণ, কিন্তু আরও কিছু অবস্থায় মনি প্রসারিত হতে পারে। যথা—ব্যথা বা ভয়, নির্দিষ্ট ওষুধ বা ড্রাগ, তীব্র অক্সিজেন–ঘাটতি ও স্নায়বিক অসুস্থতা।
কিন্তু মাথায় আঘাতের পর মনি বড় হলে এটিকে সবসময় মেডিকেল ইমার্জেন্সি হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
কখন দ্রুত চিকিৎসা প্রয়োজন?
নিম্নলিখিত লক্ষণ মাথায় আঘাতের সঙ্গে দেখা গেলে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে—
ক. ছোট-বড় দুই চোখের মনি অসমান,
খ. আঘাতের পর মণি বড় হয়ে থাকছে,
গ. মাথাব্যথা, বমি, বিভ্রান্তি,
ঘ. অজ্ঞান হয়ে যাওয়া ও
ঙ. দৃষ্টিক্ষীণতা বা চোখ না নড়া।
এ লক্ষণগুলো মস্তিষ্কের ভেতর চাপ বেড়ে যাওয়ার ইঙ্গিত হতে পারে, যা জীবনঘাতী।
আপন দেশ/জেডআই




































