
আজমেরী হক বাঁধন
রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে খুন হন মোহাম্মদ সোহাগ নামে এক ভাঙারি ব্যবসায়ী। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালের ৩ নম্বর গেটের সামনে ঘটে এ বিভীষিকাময় ঘটনা।
দুই দিন পর শুক্রবার (১১ জুলাই) দুপুরে ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়। ভিডিওতে দেখা যায়— একদল দুর্বৃত্ত সোহাগকে রাস্তায় ফেলে পাথর দিয়ে মাথা ও বুকে আঘাত করে হত্যা করে। মৃত্যুর পর হামলাকারীদের মরদেহের ওপর লাফাতে ও উল্লাস করতে দেখা যায়।
ফুটেজ সামনে আসতেই নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে তীব্র ক্ষোভ ও শোক। সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানান। শোকাহত হন অনেকেই। দাবি ওঠে খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধনের কণ্ঠেও ফুটে উঠল তীব্র প্রতিবাদ ও হতাশা।
শুক্রবার ফেসবুকে এ অভিনেত্রী লিখেছেন, এটা এক ধরনের মর্মান্তিক ছবি। কারো হত্যা হতে দেখা, যেখানে বাকি সবাই দাঁড়িয়ে দেখছে। কিছুই করছে না। এটা কীভাবে সম্ভব? কী ধরনের দেশে আমরা বেঁচে আছি? মানুষ দাঁড়িয়ে দেখলো। কিন্তু কেউ এগিয়ে গেল না। কতটা ভয়াবহ?
বাঁধন আরও লিখেছেন, আমি আর কিছু বলার ভাষা খুঁজে পাচ্ছি না। এটা কি আর কেউ অনুভব করছেন? মনে হচ্ছে না আমরা যেন নরকে বাস করছি? আর সরকার? সবসময়কার মতোই নিশ্চুপ। তারা কোথায়? কথা বলে না কেন? কিছু করে না কেন?
দেশের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বাঁধন বলেন, আমি কি এ দেশে নিরাপদ? আমি কি সত্যিই যা মনে করি তা বলতে পারি? নাকি সত্যি কথা বলার অপরাধে আমিই হব পরবর্তী টার্গেট?
বলা দরকার, নিহত সোহাগ কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পূর্ব নামাবাড়ি গ্রামের ইউসুফ আলী হাওলাদারের ছেলে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে মিটফোর্ড এলাকার ৪ নম্বর রজনী ঘোষ লেনে ভাঙারির ব্যবসা করতেন। ঘটনার পর পুলিশ জনি ও মঈন নামে দুজনকে আটক করেছে।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।