
ছবি: সংগৃহীত
বলিউডের মিস্টার পারফেকশনিস্ট খ্যাত তারকা আমির খান। দীর্ঘ তিন বছর পর ‘সিতারে জমিন পর’ সিনেমার মাধ্যমে বড় পর্দায় ফিরলেন। আর ফিরেই বাজিমাত করলেন বক্স অফিসে।
প্রথমে অনেকেই ভাবেননি সিনেমাটি সাফল্য পাবে। ‘সিতারে জামিন পর’ সিনেমাটি নিয়ে সমালোচকদেরও আগ্রহ ছিল কম। অগ্রিম টিকিট বিক্রিও ছিল হতাশাজনক। কিন্তু শুক্রবার (২০ জুন) মুক্তির পর হঠাৎ করেই চিত্র পাল্টে যায়। সিনেমাটি মুক্তির প্রথম দিনে আয় করে ১১ কোটি রুপি, দ্বিতীয় দিনে ২২ কোটি এবং তৃতীয় দিনে ২৮ কোটি রুপি।
হিন্দুস্তান টাইমসের তথ্যমতে, প্রথম তিন দিনেই ‘সিতারে জমিন পর’ সিনেমার মোট আয় ৬০ কোটিরও বেশি।
আরওপড়ুন<<>>এবার ২৪ সেকেন্ডে ঝড় তুললেন নুসরাত ফারিয়া
‘সিতারে জমিন পর’ সিনেমাটি মূলত ২০০৭ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘তারে জমিন পর’–এর অনুপ্রেরণায় তৈরি হলেও এটি আদতে একটি স্প্যানিশ সিনেমার হিন্দি রিমেক। ছবিটি পরিচালনা করেছেন এস প্রসন্ন। আর এটি হলিউডের ‘চ্যাম্পিয়ন্স’ ছবির অনুকরণে নির্মিত। সিনেমাটিতে আমির খানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন জেনেলিয়া ডি’সুজা এবং ১০ জন বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পী।
বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিল্পীদের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা নিয়ে আমির খান বলেন, আমার প্রায় ৩৫ বছরের অভিজ্ঞতায় দেখেছি, সেটে সৃজনশীল মানুষের মধ্যে ইগো, মতবিরোধ ও টানাপোড়েন থাকেই। কিন্তু এ ছবির শুটিংয়ে সে চিত্র একেবারে উল্টো। ওই ১০ বিশেষ শিল্পী সেটে পা রাখতেই যেন এক পবিত্রতা ছড়িয়ে যেত। তাদের মধ্যে কোনো অহংকার নেই, নেই গলা উঁচিয়ে কথা বলার অভ্যাস। এমনভাবে সহযোগিতা করেছে, যা আমাদেরও শিখিয়ে গেছে কীভাবে সহনশীল হতে হয়।
তবে সিনেমাটির নির্মাণ খরচ এখনও পুরোপুরি উঠিয়ে আনা যায়নি। ফলে লাভের মুখ দেখতে হলে আরও কিছুদিন চলতে হবে সিনেমাটিকে। তবুও সামগ্রিকভাবে ছবিটি আমির খানের ক্যারিয়ারে এক সাহসী ও সফল প্রত্যাবর্তন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।