
ছবি: আপন দেশ
পূর্ণদিবস কর্মবিরতি পালন করছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) শিক্ষক-কর্মকর্তারা। শনিবার (২০ সেপ্টেম্বর) শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের হাতাহাতির ঘটনায় বিচার চেয়ে এ কর্মসূচির ঘোষণা দিয়েছিলেন তারা। এদিকে রাকসু নির্বাচনের মাত্র চারদিন আগে এমন কর্মসূচির ফলে শঙ্কা তৈরি হয়েছে সঠিক সময়ে রাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়া নিয়ে।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকেই শিক্ষার্থীদের তেমন প্রচারণা করতে দেখা যায়নি। হাতে গোনা কয়েকজন প্রার্থীকে লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যায়।
এদিকে, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আন্দোলন রাকসু নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে কিনা জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসার্স সমিতির সভাপতি মুক্তার হোসেন বলেন, রাকসুতে আমাদের এ আন্দোলন কোনো প্রভাব ফেলবে না। রাকসুকে আমরা আমাদের কর্মসূচির বাইরে রেখেছি। আমাদের দাবি হলো- ছাত্র নামধারী কিছুসংখ্যক সন্ত্রাসী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্যকে শারিরিকভাবে লাঞ্চিত করেছে। এমনকি তাকে বাসাতেও ঢুকতে দেয়া হয়নি। এদেরকে চিহ্নিত করে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনে শাস্তি দিতে হবে।
আরওপড়ুন<<>>পোষ্য কোটা ইসুতে রাবিতে কর্মবিরতি চলছে
সার্বিক বিষয়ে রাকসু প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক ড. সেতাউর রহমান বলেন, শনিবারের ঘটনায় আমাদের নির্বাচনি কোনো কার্যক্রম ব্যহত হয়েছে বলে আমরা মনে করছিনা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আমরা সকল ধরনের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছি। রাকসু যেহেতু আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের দীর্ঘদিনের একটা প্রত্যাশা, তাই আমরা সকল পক্ষের সহোযোগিতা চাই। উপাচার্য স্যারও আমাদের সকল ধরণের কার্যক্রম চালিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছেন। ২৫ তারিখেই রাকসু নির্বাচন হবে, আমাদের নির্বাচনি সকল কার্যক্রম চলমান।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আমাদের কথা হয়েছে। তারা বলেছেন যে, শনিবারের ঘটনার ভিত্তিতেই তারা আজকের কর্মসূচি দিয়েছেন এবং সকল জরুরি সেবা তাদের এ আন্দোলনের আওতামুক্ত। তারই প্রেক্ষিতে ২৫ তারিখেই যেহেতু রাকসু নির্বাচন তাই এটি বর্তমানে একটি জরুরি সেবার অবস্থানেই আছে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।