Apan Desh | আপন দেশ

শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রমোশন কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতি: যবিপ্রবি প্রশাসন

যশোর প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১২:৩১, ২৭ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ১২:৪৯, ২৭ আগস্ট ২০২৫

শিক্ষক-কর্মকর্তাদের প্রমোশন কার্যক্রমের দৃশ্যমান অগ্রগতি: যবিপ্রবি প্রশাসন

ফাইল ছবি।

গত বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ফার্মাসিউটিক্যাল কেমিস্ট্রি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ। তার নেতৃত্বে বর্তমানে যবিপ্রবি প্রশাসন নিয়োগ, পদোন্নতি, অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম, গবেষণা ও সকল বিষয় একসঙ্গে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তবে একটি কুচক্রী ও স্বার্থান্বেষী মহল নিজেদের হীন স্বার্থে এবং বিশ্ববিদ্যালয়কে অস্থিতিশীল রাখতে সবসময় তৎপর।

যবিপ্রবি প্রশাসন বলছে, অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের পরপরই যবিপ্রবির আইন ২০০১ অনুযায়ী শিক্ষক-কর্মকর্তা, কর্মচারী নীতিমালা যুগোপযোগী করা হয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের উচ্চতর ও নিম্নতর বাছাই বোর্ড, কর্মকর্তা বাছাই বোর্ড ও কর্মচারী বাছাই বোর্ড নতুনভাবে গঠনের উদ্যোগ নেয়া হয়। শিক্ষা মন্ত্রণালয় হতে সম্প্রতি শিক্ষকদের ১৫টি বিভাগের বোর্ড সদস্য মনোয়ন দিয়েছে, বাকিগুলো প্রক্রিয়াধীন। পাশাপাশি নীতিমালা অনুসরণ করেই শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আপগ্রেডেশন ও প্রমোশন দিচ্ছে প্রশাসন।

যবিপ্রবি প্রশাসন আরও বলছে, গত ১৫ আগস্ট রিজেন্ট বোর্ডের ১০৮তম সভায় ওই ১৫টি বিভাগের নিয়োগবোর্ডে বাকি সদস্যদের নাম প্রস্তাব করেছে। এসব বিভাগ থেকে যুগোপযোগী নীতিমালা অনুসরণপূর্বক আপগ্রেডেশন ও প্রমোশনের জন্য গত ১৮ আগস্ট যবিপ্রবির রেজিস্ট্রার কর্তৃক সকল বিভাগে শিক্ষকগণের আপগ্রেডেশনের জন্য প্লানিং কমিটির সুপারিশ প্রেরণের অনুরোধ করা হয়। যা বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ১৯ আগস্ট থেকে দেয়া আছে। বিভাগগুলো হতে প্লানিং কমিটির রিপোর্ট পাওয়া মাত্রই পর্যায়ক্রমে বোর্ড শুরু হবে।

তাছাড়া গত ২৩ মার্চ শিক্ষক-কর্মকর্তা নিয়োগ, পদোন্নতি এবং ০২ জুন শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ আবেদনের প্রেক্ষিতে অভ্যন্তরীণ ও বহিঃস্থ নিয়োগ ও পদোন্নতির জন্য প্রাপ্ত আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কার্যক্রম ও কমপারাটিভ স্টাডি (সিএস) চলমান রয়েছে। শিক্ষক নিয়োগের জন্য ২৮টি বিভাগ ও ১টি অনুষদের মোট ৫৮টি, যার ২৯টি উচ্চতর ও ২৯টি নিম্নতর বোর্ড গঠন করতে হচ্ছে। যার মধ্যে ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য রিজেন্ট বোর্ডে অর্ধেক সম্পন্ন হয়েছে। প্রশাসনের পক্ষ হতে এ প্রক্রিয়া দ্রুত সঙ্গে সম্পন্ন করার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা চলমান আছে। বহিঃস্থ সদস্য নির্বাচন ও মন্ত্রণালয় হতে অনুমোদন একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া। অন্যদিকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের জন্য ১৭টি বোর্ড গঠনের প্রস্তাব ১৫ আগস্ট অনুষ্ঠিতব্য রিজেন্ট বোর্ডে গৃহীত হয়েছে।

যবিপ্রবি প্রশাসন বলছে, যেখানে মার্চ ও জুন মাসে নিয়োগ ও পদোন্নতির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়াধীন, সে সঙ্গে রিজেন্ট বোর্ড কর্তৃক ১৫ আগস্ট বোর্ড গঠনের বিষয়টি অনুমোদিত হয়েছে। ১৮ আগস্ট আপগ্রেডেশনের জন্য প্রশাসনের পক্ষ হতে বিভাগ ও দফতরগুলোতে পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে উপাচার্যের বিরুদ্ধে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি আটকে থাকার অভিযোগ হয়েছে, তা কতটুকু যৌক্তিক ও তথ্যনির্ভর তা আমাদের বোধগম্য নয়। যবিপ্রবি প্রশাসন এ ধরনের মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অপপ্রচার ব্যক্তিগত আক্রোশের বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করে।

যবিপ্রবি প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে, যেকোনো ঘটনার গঠনমূলক সমালোচনা ও সঠিক তথ্য প্রকাশের ব্যাপারে সবসময় আন্তরিক। গঠনমূলক সমালোচনা ও সঠিক তথ্যের প্রকাশ প্রশাসনের কাজকে গতিশীল ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে। কিন্তু অমূলক, ভিত্তিহীন, মিথ্যা ঘটনা প্রকাশ ও মিথ্যা গল্প বানিয়ে প্রশাসনকে হেয় করা কখনোই সমীচীন নয়। যবিপ্রবি প্রশাসন সবসময় স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে চাই।

আপন দেশ/এমএইচ

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়