Apan Desh | আপন দেশ

চবির হলে পচা ডিম-খিচুড়ি, শিক্ষাথীদের বিক্ষোভ

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২০:১১, ৯ আগস্ট ২০২৫

আপডেট: ২২:১০, ৯ আগস্ট ২০২৫

চবির হলে পচা ডিম-খিচুড়ি, শিক্ষাথীদের বিক্ষোভ

ছবি: আপন দেশ

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) এ. এফ. রহমান হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও একটি খাবার দোকানের ফ্রিজ থেকে কয়েকদিনের পচা-বাসি খাবার উদ্ধার করে আন্দোলন করেছে শিক্ষার্থীরা।

শনিবার (০৯ আগস্ট) দুপুর আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্ষুব্ধ হয়ে দোকান ও ক্যান্টিনে তালা দেন।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, এক কর্মচারী হাত না ধুয়ে খাবার পরিবেশন করছিলেন। প্রতিবাদ জানালে ক্যান্টিন মালিক বলেন, খাইলে খাইবেন, না খাইলে খাইবেন না। পরে শিক্ষার্থীরা ডাইনিং, ক্যান্টিন ও দোকানের ফ্রিজ খুঁজে কয়েকদিনের পঁচা-বাসি খাবার বের করে আন্দোলন করেন।

রাজনীতি বিজ্ঞান বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আব্দুল আউয়াল বলেন, আজকে আমরা হলের ডাইনিং, ক্যান্টিন ও আলম ভাইয়ের দোকানের ফ্রিজ থেকে কয়েকদিন আগের বাসি পচা খাবার পেয়েছি। প্রায় সময়ই তারা আমাদের আগের দিনের বাড়তি থাকা খাবার খাওয়ায়। পরোটা বানানোর যে আটা সেটা ২-৩ দিনেরটা একসঙ্গে রাখে। এগুলো খেয়ে আমরা প্রতিনিয়ত অসুস্থ হচ্ছি। আমরা এর সমাধান চাই। প্রশাসনের কাছে ১৩ দফা দাবি জানিয়েছি।

আরওপড়ুন<<>>জাবি ছাত্রদলের ৬ সদস্যের কমিটির ৩ জনই সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- পরিচ্ছন্নতা ও হাইজিন নিশ্চিত করা, ফিল্টারসহ সুপেয় পানির ব্যবস্থা করা, মালিকদের অব্যহতি দেয়া, ক্যাফেটেরিয়া সম্পূর্ণ রং করা এবং ফ্যান লাগানো, বাচ্চা ছেলেদের কাজে না রাখা, নতুন টেবিল-চেয়ার দেয়া, নিয়মিত পরিচর্যা করা, চারপাশের পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করা, কর্মচারীদের আচরণবিধি ঠিক করা, দুইটি নতুন মুদি দোকান ও খাবার দোকান স্থাপন করা, পুরাতন থালাবাসন পরিবর্তন করা, পর্যাপ্ত লাইটিং রাখা এবং সবগুলো দোকানে পরিচ্ছন্ন বেসিনের ব্যবস্থা করা।

একই বিভাগের আরেক শিক্ষার্থী সাখাওয়াত হোসেন মিলন বলেন, এখানে খাবারের এতো বাজে অবস্থা তা ভাষায় বলার মতো না। আমি নিজে এ খাবার খেয়ে মাসখানেক আগে অসুস্থ ছিলাম। খাবার যদি একটু স্বাস্থ্যসম্মত না পাই কীভাবে বেঁচে থাকবো? পড়ালেখা কীভাবে চালাবো?

ঘটনাস্থলে থাকা হাউস টিউটর মোরশেদুল হক বলেন, সহকারী প্রক্টর কোরবান আলী ও নুরুল হামিদ কানন পরিদর্শনে পঁচা খিচুড়ি ও ডিম পান। প্রভোস্ট এর ব্যবস্থা না নিলে আমি হলে থাকব না। পরে তিনি দোকান ও ক্যান্টিন বন্ধ ঘোষণা করে।

এ বিষয়ে সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ কানন বলেন, আমরা এসে খাবারের বাজে অবস্থা দেখেছি। খাবারের এত বাজে অবস্থা থাকার পরও শিক্ষার্থীরা মব সৃষ্টি করেনি তার জন্য আমি সাধুবাদ জানাই। কারণ আগের সময় দেখেছি, খাবার এ বাজে অবস্থার কারণে মব হয়েছিল। আমরা হল কর্তৃপক্ষ এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলব এবং এ দোকান ও ক্যান্টিন বন্ধ থাকবে।

আপন দেশ/এমএইচ
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়