Apan Desh | আপন দেশ

আইডিয়াথন ৩.০-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে নিটার টিম

নিটার প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২২:২০, ৮ মে ২০২৫

আইডিয়াথন ৩.০-এর গ্র্যান্ড ফিনালেতে নিটার টিম

লাবিবা সালওয়া ইসলাম, রবিউল আলম মারুফ ও সামিয়া আনোয়ার নিশাত।

ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিকের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের ক্যারিয়ার ক্লাব কর্তৃক আয়োজিত ‘IDEATHON 3.0’-এর গ্র্যান্ড ফিনালের জন্য নির্বাচিত হয়েছে নিটারের একটি উদ্ভাবনী টিম। 

এবারের প্রতিযোগিতায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে জমা পড়া ৬৩টি আইডিয়ার মধ্যে মাত্র ৩০টি টিমকে বাছাই করা হয়। যার মধ্যে নিটারের টিমও একটি। 

সোমবার (১২ মে) তারা ইউনিভার্সিটি অফ এশিয়া প্যাসিফিক ক্যাম্পাসে বাকী ২৯টি টিমের সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে।

নিটার সাইন্স সোসাইটির অ্যাডভাইজরি ও বর্তমান প্যানেল কমিটির সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত তিনজনের এ টিমের আইডিয়াটি ছিল—কীভাবে কম খরচে EMP (Electromagnetic Pulse) প্রতিরোধী পরিবাহী উপকরণ তৈরি করা যায়। নিটার সাইন্স সোসাইটির ২০২৪-২০২৫ প্যানেলের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ রিসার্চ এবং বর্তমানে উপদেষ্টা প্যানেলের সদস্য ও নিটার ১০ম ব্যাচের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রবিউল আলম মারুফ, নিটার সাইন্স সোসাইটির বর্তমান ভাইস প্রেসিডেন্ট (রিসার্চ) ও ১২তম ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী লাবিবা সালওয়া ইসলাম এবং নিটার সাইন্স সোসাইটির বর্তমান যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও ১২তম ব্যাচের টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী সামিয়া আনোয়ার নিশাত মিলিতভাবে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন।

এ গবেষণাধর্মী প্রকল্পটির যৌথ তত্ত্বাবধানে ছিলেন নিটারের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিয়াল রিলেশনস (CRIR)-এর আহ্বায়ক ড. মো. আবুল কালাম ও ইইই বিভাগের প্রভাষক মো. মুশফিকুর রহমান, যা মারুফের ব্যাচেলর প্রি-ডিফেন্সের একটি অংশ।

এবারের প্রতিযোগিতায় নিটারের সঙ্গে যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম ফাইনালের জন্য নির্বাচিত হয়েছে, তাদের মধ্যে রয়েছে—ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট), চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট), বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অফ প্রফেশনালস (BUP), নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি), চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিম্যাল সায়েন্সেস বিশ্ববিদ্যালয় (সিভাসু), ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অফ টেকনোলজি (IUT), ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়, ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটি ইত্যাদি।

টিম লিডার মারুফ বলেন, বর্তমান বিশ্বে রাশিয়া-ইউক্রেন, ভারত-পাকিস্তানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে চলমান ভূরাজনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষিতে EMP-প্রতিরোধী প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা এখন সময়ের দাবি।

তিনি আরও বলেন, উন্নত দেশগুলো ইতোমধ্যেই ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক পালস রেডিয়েশনযুক্ত মিসাইলের সক্ষমতা অর্জন করেছে। যা বৈদ্যুতিক ও ইলেকট্রনিক অবকাঠামোর জন্য ভয়াবহ হুমকি।

'Kinetic Obeys' দলের সদস্যরা জানান, সাধারণ বৈদ্যুতিক তারে ব্যবহৃত ধাতব উপাদান EMP প্রতিরোধী নয়। তবে গবেষণায় দেখা গেছে, কেমিক্যাল-ভিত্তিক পরিবাহী উপকরণ একদিকে যেমন সাশ্রয়ী, অন্যদিকে এটি সেন্সর, সোলার প্যানেল, ব্যাটারি স্টোরেজ প্রভৃতি প্রযুক্তিতে কার্যকরভাবে ব্যবহারযোগ্য। বিশ্ববাজারে কেমিক্যাল পরিবাহী পেইন্টের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। Compound Annual Growth Rate (CAGR) অনুযায়ী, ২০২২ সালে এ বাজারের আকার ছিল ২২.৬৫ বিলিয়ন ডলার, যা ২০২৯ সালে ৩১.৫ বিলিয়নে পৌঁছাবে বলে আশা করা হচ্ছে। এ খাতে কাজ করছে হেরাস হোল্ডিং জিএমবিএইচ, হেংকেল এজি, পার্কার হানিফিন কোম্পানি, ভোল্টেরা, প্রমিথিয়ান পার্টিকেলস লিমিটেড ও ন্যানো 3D বায়োসায়েন্স ইন.-এর মতো প্রতিষ্ঠান।

নিটার টিমের এ উদ্ভাবনী চিন্তাভাবনা EMP প্রতিরোধী প্রযুক্তির দুনিয়ায় এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়