Apan Desh | আপন দেশ

যৌন হয়রানি: বেরোবিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কুশপুত্তলিকা দাহ

বেরোবি প্রতিনিধি 

প্রকাশিত: ১৭:৪৬, ২১ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ১৭:৪৮, ২১ এপ্রিল ২০২৫

যৌন হয়রানি: বেরোবিতে অভিযুক্ত শিক্ষকদের কুশপুত্তলিকা দাহ

ছবি: আপন দেশ

রংপুরের বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) যৌন নিপীড়ক শিক্ষকদের প্রতীকী জুতার মালা পরিয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করেছে সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের কৃষ্ণচূড়া সড়কে এক দল বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থী অভিযুক্ত শিক্ষকদের প্রতীকী জুতার মালা পড়িয়ে কুশপুত্তলিকা দাহ করেন।

এ সময় কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী রহমান আলী বলেন, যৌন নিপীড়নের জন্য বেরোবিসহ প্রতিটি বিশ্ববিদ্যালযয়ে যৌন নিপীড়নের আলাদা সেল থাকা উচিত। আমরা কয়েকদিন ধরে বিশ্ববিদ্যালযয়ে যৌন হয়রানি অনেকগুলো বিষয় দেখেছি। কিন্তু তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।

ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী আশিকুর রহমান বলেন,  আমাদের সকলের দাবি একটাই, এসব কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত সাপেক্ষে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক। যাতে ভবিষ্যতে কোনো শিক্ষক এমন ন্যাক্কারজনক কাজ করতে না পারে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. ফেরদৌস রহমান বলেন, একটি যৌন হয়রানি অভিযোগ পেয়েছি। সেটি তদন্তে কমিটি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তিন কার্যদিবসে কমিটি প্রতিবাদ জমা দিবেন।

আরওপড়ুন<<>>পারভেজ হত্যা: ঘাতকদের শাস্তি দাবিতে বাকৃবি ছাত্রদলের মানববন্ধন

তিনি আরও বলেন, আরও কিছু অভিযোগ ফেসবুকে ঘুরছে। কারো কি সৎ সাহস নেই। নাকি যে শিক্ষার্থীকে হয়রানি করা হয়েছে, সে ঠিকই মজা পেয়েছে, সঙ্গে মার্কও নিয়েছে।

এ বিষয়ে উপাচার্য প্রফেসর ড. শওকাত আলী বলেন, যৌন নিপীড়নের সেল গঠন করা হয়েছে। সেখানে যে কেউ অভিযোগ দিতে পারবে। আর পরিসংখ্যান বিভাগের যে অভিযোগ পত্র এসেছে, সেটির জন্য কমিটি গঠন করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ১৩ এপ্রিল রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক ড. মো. তানজিউল ইসলাম জীবন ও ওই  বিভাগের এক ছাত্রীর কণ্ঠ সদৃশ কথোপকথনের ৩টি অডিও ক্লিপ ফাঁস হয়।

অন্যদিকে পরিসংখ্যান বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানির অভিযোগ উঠে। শনিবার (১৯ এপ্রিল) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পেজ এবং গ্রুপে শিক্ষক রশীদুল ইসলাম এবং ওই ছাত্রীর ম্যাসেঞ্জারে কথোপকথনের স্ক্রিনশটগুলো প্রকাশ করেন ভুক্তভোগী ছাত্রী। এর আগে গত ১৭ এপ্রিল একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক অতুল চন্দ্র সিংহ এবং অধ্যাপক ড.মো.রশীদুল ইসলামের বিরুদ্ধে নম্বর কম দেয়ার অভিযোগ তুলে  উপাচার্যের কাছে অভিযোগপত্র জমা দেন পরিসংখ্যান বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের (১২ ব্যাচ) শিক্ষার্থীরা।

আপন দেশ/এমএস
 

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়