সংগৃহীত ছবি
রাজশাহীর তানোরে গর্তে পড়ে যাওয়া শিশুটিকে ৩০ ঘণ্টা পরও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। ৪৫ ফুট গভীরে গিয়েও শিশুটিকে পাওয়া যায়নি। গতকাল বিকেল থেকে উদ্ধারকাজ শুরু করে ফায়ার সার্ভিস, উদ্ধারকাজ চলমান রয়েছে।
বুধবার (১০ ডিসেম্বর) দুপুর ১টার দিকে উপজেলার কোয়েলহাট পূর্বপাড়া গ্রামে সাজিদ নামের ২ বছরের একটি শিশু গভীর গর্তে পড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, মূল গর্তের পাশ থেকে কেটে শিশুটিকে উদ্ধার করার চেষ্টা চলছে। সন্ধ্যা সাতটায় এ প্রতিবেদন লেখার সময় উদ্ধারকাজ চলছিল। এমনকি শিশুটিকে না পাওয়া পর্যন্ত উদ্ধার কাজ চলবে বলে ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন>>>শূণ্য তিন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে রিজওয়ানা, আদিলুর-আসিফ নজরুল
এদিকে বৃহস্পতিবার উদ্ধার কার্যক্রম পরিদর্শনে গেছেন ফায়ার সার্ভিসের পরিচালক (অপারেশন ও মেনটেনেন্স) লেফটেন্যান্ট কর্নেল তাজুল ইসলাম চৌধুরী। তিনি ঢাকা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পৌঁছান। পরে তিনি সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন। বলেন, শিশুটিকে না পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস কাজ করে যাবে। প্রয়োজন হলে ১০০ ফুট পর্যন্ত যেতে হবে। এটা করা ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।
উদ্ধারকাজে যুক্ত ফায়ার সার্ভিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা ওই গর্তে সার্চ ভিশন ক্যামেরা নামিয়ে দেখেছেন। তবে ৪৫ ফুটের পর আর ক্যামেরা যাচ্ছে না। পরে দ্বিতীয় দফায় আবারও উদ্ধার অভিযান শুরু হয়। দুপুর আড়াইটার পর থেকে এ অভিযানে সন্ধ্যা পর্যন্ত আরও অন্তত ১৫ ফুট গভীর ও প্রশস্ত গর্ত করা হয়েছে। কিন্তু তারপরেও শিশুটির সন্ধান এখন পর্যন্ত পাওয়া যায়নি।
স্থানীয় লোকজন জানান, রাজশাহীর তানোর উপজেলার পচন্দর ইউনিয়নের এ গ্রামে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে। এ এলাকায় এখন গভীর নলকূপ বসানোর বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা আছে। এ অবস্থার মধ্যে কোয়েলহাট গ্রামের ওছির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি তার জমিতে পানির স্তর পাওয়া যায় কি না, সেটা যাচাই করার জন্য গর্তটি খনন করেছিলেন। সে গর্ত ভরাটও করেছিলেন, কিন্তু বর্ষায় মাটি বসে গিয়ে নতুন করে গর্ত সৃষ্টি হয়। সে গর্তেই শিশুটি পড়ে যায়।
ফায়ার সার্ভিস সূত্রে জানা যায়, বুধবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে এক্সকেভেটর দিয়ে খনন শুরু হয়। ঘটনাস্থলের পার্শ্ববর্তী চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ রাজশাহী ফায়ার সার্ভিসের আটটি ইউনিট কাজ করে। তাদের সঙ্গে যোগ দেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনী। প্রথমে দুটি এক্সকেভেটর রাত দেড়টা পর্যন্ত কাজ করে। পরে দ্রুত গর্ত করার জন্য রাত পৌনে ২টার দিকে রাজশাহী সিটি করপোরেশন থেকে পাঠানো বড় এক্সকেভেটর দিয়ে খনন শুরু করা হয়েছিল। সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত প্রায় ষাট ফুট গর্ত করা হলেও শিশুটির এখন পর্যন্ত কোনো সন্ধান মেলেনি।
আপন দেশ/এমবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































