Apan Desh | আপন দেশ

গণহত্যা দিবসে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন

কালীগঞ্জ (গাজীপুর) প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬:১৬, ১ ডিসেম্বর ২০২৫

গণহত্যা দিবসে কালীগঞ্জ উপজেলা প্রশাসনের শ্রদ্ধা নিবেদন

ছবি: আপন দেশ

স্বাধীনতার জন্য তখন দেশে মুক্তিযুদ্ধ চলছে। তারিখ ০১ ডিসেম্বর ১৯৭১ সাল। গাজীপুরের কালীগঞ্জে ঐতিহ্যবাহী ন্যাশনাল জুট মিলের ভিতরে কর্মকর্তা-কর্মচারী ও মুক্তিযোদ্ধাসহ  ১০৬ জনকে দাঁড় করিয়ে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী ব্রাশ ফায়ারে শহীদ করে। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও কালীগঞ্জে শহীদের স্মরণে ০১ ডিসেম্বর গণহত্যা দিবস পালন উপলক্ষে গণকবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছে উপজেলা প্রশাসন।

দিবসটি উপলক্ষে সোমবার (০১ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় শহীদের গণকবরে উপজেলা প্রশাসন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ.টি.এম কামরুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) জাকিয়া সরওয়ার লিমা, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোসাম্মদ নাহিদা খাতুন, উপজেলা কৃষি অফিসার ফারজানা তাসলিম, কালীগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক মো. আব্দুল কুদ্দুস, সমাজসেবা কর্মকর্তা আফরোজা বেগম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ভূঁইয়া, তথ্যসেবা কর্মকর্তা সোহা তামান্না, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, প্রশাসনের বিভিন্ন দফতর প্রধানগণ, ইউনিয়ন পরিষদের প্রতিনিধি, এলাকার সুশিল সমাজের প্রতিনিধি এবং গণমাধ্যমকর্মীবৃন্দসহ প্রমুখ। পরে শহীদদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া প্রার্থ্যনা করা হয়। 

আরও পড়ুন<<>>খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় টাঙ্গাইলে শীতবস্ত্র বিতরন

উপজেলার খলাপাড়া এলাকার স্থানীদের সঙ্গে আলাপকালে জানা যায়, ১৯৭১ সালে ডিসেম্বরের ০১ তারিখে কালীগঞ্জের বাহাদুরশাদী ইউনিয়নের খলাপাড়াস্থিত ন্যাশনাল জুট মিলের ভিতরে মুক্তিযোদ্ধারা অবস্থান করছিল। শ্রমিকরা তখন সকালের নাস্তা খাচ্ছিল। ঠিক সে মূহুর্তে পাক হানাদার বাহিনী শীতলক্ষা নদী পাড় হয়ে এসে ন্যাশনাল জুট মিলে ভিতরে প্রবেশ করে সন্ধা পর্যন্ত নির্মম গণহত্যাকান্ড চালায়। তখন থেকে ৩/৪ দিন পর্যন্ত মৃতদেহ মিলের ভিতরের বাগানে পড়ে থাকতে দেখা যায়। হানাদার বাহিনীর ভয়ে কেউ মৃতদেহ উদ্ধার করতে এগিয়ে আসেনি। দেশ স্বাধীন হলে এলাকাবাসী মিলের ভিতরে ১০৬ জনের মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখে। পরে মৃতদেহগুলি ন্যাশনাল জুট মিলের দক্ষিণ পাশে গণকবরে সমাহিত করেন।

পরবর্তীতে মিল কর্তৃপক্ষ গণহত্যার শিকার শহীদদের স্মৃতি রক্ষার্থে ‘শহীদের স্মরণে ১৯৭১’ নামক একটি শহীদ মিনার নির্মাণ করে শহীদের গণকবরের পাশে একটি মসজিদ নির্মাণ করে।

আপন দেশ/এসআর

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়