Apan Desh | আপন দেশ

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৪:৩৩, ২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৫

বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে যুবদল নেতা নিহত

সাদেক হোসেন

নরসিংদী সদরের চরাঞ্চলে ফের বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে যুবদলের স্থানীয় এক নেতা নিহত হয়েছেন। 

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সকালে সদর উপজেলার আলোকবালী ইউনিয়নের মুরাদনগরে এ ঘটনা ঘটে। চলতি মাসে ওই এলাকায় এ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষে অন্তত তিনজন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

আজ সকালে নিহত ব্যক্তির নাম সাদেক হোসেন (৪২)। তিনি একই এলাকার বাসিন্দা ও ইউনিয়ন যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর একই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে স্থানীয় বিএনপির দুই পক্ষের পৃথক সংঘর্ষের ঘটনায় ইদন মিয়া (৬০) ও ফেরদৌসী বেগম (৩৫) নামের দুজন নিহত হন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গত বছরের ৫ আগস্টের পর আলোকবালী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতা-কর্মী আত্মগোপনে চলে যায়। এতে করে সেখানে বিএনপির দুটি পক্ষকে সক্রিয় হতে দেখা যায়। একটি পক্ষে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক শাহ আলম চৌধুরী ও আরেক পক্ষে সদ্য বহিষ্কৃত সদস্যসচিব আবদুল কাইয়ুম মিয়া নেতৃত্ব দেন। মেঘনা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে বালু তোলাসহ নানা অভিযোগে সম্প্রতি দলীয় পদ থেকে বহিষ্কৃত হন আবদুল কাইয়ুম। স্থানীয় বিএনপির রাজনীতিতে তার সক্রিয় থাকার বিষয়টি মানতে পারছিল না শাহ আলম পক্ষ। 

আরও পড়ুন>>>রওশনপন্থি জাপা মহাসচিব মামুনুর রশীদ গ্রেফতার

অভিযোগ রয়েছে, আবদুল কাইয়ুম মিয়াকে ঠেকাতে এলাকা ছাড়া আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আবার এলাকায় ফিরিয়ে আনছেন শাহ আলম চৌধুরী। এ নিয়ে দুই পক্ষই বারবার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। এসব ঘটনার জেরে ১৮ ও ১৯ সেপ্টেম্বর মুরাদনগর গ্রামে সংঘর্ষ হয়।

সূত্রগুলো বলছে, আজ সকালে আবারও দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হয়। এ সময় সাদেক হোসেনসহ অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেয়ার পর সাদেক হোসেনকে মৃত ঘোষণা করেন জরুরি বিভাগের চিকিৎসক।

সাদেক হোসেনের গলার ওপরের অংশে গুলির চিহ্ন ছিল বলে জানান নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা ফরিদা গুলশানারা কবির। তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে দুই পক্ষের নেতা শাহ আলম চৌধুরী ও আবদুল কাইয়ুম মিয়ার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার কল দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়।

নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কলিম উল্লাহ জানান, এলাকার পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক আছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

সম্পর্কিত বিষয়:

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

জনপ্রিয়