
সোহেল আহমেদ মানিক
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভাঙচুর ও হামলার ঘটনা ঘটেছে। জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে এ হামলা হয় বলে অভিযোগ ওঠেছে। এতে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ হওয়ায় তাকে বিএনপি থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
শনিবার (০৩ মে) বিএনপির কেন্দ্রীয় সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাড. রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক পত্রে মানিককে বহিস্কার করা হয়।
ওইপত্রে বলা হয়েছে, আপনি জেলার দায়িত্বশীল নেতা হয়েও দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি, একজন স্কুল শিক্ষকের সঙ্গে অসাধাচারণ ও সংঘাতমূলক কর্মকান্ডে জড়িত থাকার সুস্পস্ট অভিযোগের ভিত্তিতে আপনাকে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল- বিএনপির প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে নির্দেশক্রমে বহিস্কার করা হলো।
আরওপড়ুন<<>>স্ত্রীর স্বীকৃতির দাবিতে জামায়াত নেতার বাড়িতে তরুণীর অনশন
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহবায়ক রহমতুল্লাহ পলাশ সোহেল আহমেদ মানিকের বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্বেচ্ছাসেবকদলের সাবেক সভাপতি সোহেল আহমেদ মানিকের নেতৃত্বে হামলা ও ভাঙচুর করা হয়েছে। তবে এ বিষয়ে অভিযুক্ত বিএনপি নেতা মানিক বলেন আমি রোগীর সঙ্গে ছিলাম কারা ভাঙচুর করেছে আমি জানিনা। আমি সেখানে ছিলাম।
সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. ফয়সাল আহমেদ বলেন, শাহিনুর নামে এক রোগীকে জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করে ইনডোরে পাঠানো হয়। পরে রোগীর স্বজনরা ইনডোর থেকে জরুরি বিভাগে এসে ইনডোরে কেন ডাক্তার নাই বলে তর্কের এক পর্যায়ে মারধর ও ব্যাপক ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলেও জানান তিনি।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পর বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে সোহেল আহমেদ মানিক। তার বিরুদ্ধে জমি দখল ও চাঁদাবাজির একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া গত ১৫ জানুয়ারি একটি কিন্ডারগার্টেনে গিয়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবিসহ স্কুলের এক শিক্ষককে লাঞ্চিত করার অভিযোগ রয়েছে মানিকের বিরুদ্ধে।
আপন দেশ/এমএইচ
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।