Apan Desh | আপন দেশ

রায়পুরায় দুই ছাত্রীকে নৌকায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

নরসিংদী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২১:৫০, ৮ এপ্রিল ২০২৫

আপডেট: ২১:৫৪, ৮ এপ্রিল ২০২৫

রায়পুরায় দুই ছাত্রীকে নৌকায় নিয়ে দলবদ্ধ ধর্ষণ

প্রতীকী ছবি

নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলায় ষষ্ঠ শ্রেণির দুই ছাত্রী দলবদ্ধ ধর্ষণ করা হয়েছে। আটজন যুবক মিলে দলবদ্ধভাবে ধর্ষণ করে। সোমবার (০৭ এপ্রিল) সন্ধ্যায় উপজেলার চর-আড়ালিয়া ইউনিয়নের বাঘাইকান্দী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগী দুই ছাত্রী ওই গ্রামেরই বাসিন্দা। তাদের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছর। তারা স্থানীয় স্কুলে ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে।

পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকেলের দিকে দুই বান্ধবী নৌকায় ঘুরাতে যায়। তাদের নিয়ে যায় কাইয়ুম (২১) ও মুন্না (২২)। ঘুরাঘুরির একপর্যায়ে সন্ধ্যায় তারা নৌকা তীরে ভেড়ায়। পরে দুই কিশোরীকে নিয়ে যায় পূর্ব বাঘাইকান্দী এসইএসডিপি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের পেছনে এক নির্জন স্থানে।

সেখানে আগে থেকেই প্রস্তুত ছিল আরও ছয় যুবক। সবাই মিলে ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক দুই ছাত্রীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। পরে তাদের ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরী রাতেই কাঁদতে কাঁদতে বাড়ি ফিরে আসে। পরিবারের লোকজন বিষয়টি জিজ্ঞেস করলে তারা সব খুলে বলে। তবে এখনও থানায় কোনো অভিযোগ করা হয়নি।

ঘটনায় অভিযুক্তরা সবাই বাঘাইকান্দী এলাকার বাসিন্দা। তারা হলো—কাইয়ুম (সেন্টু মিয়ার ছেলে), মুন্না (শাহ মিয়ার ছেলে), সাইফুল (কাদির মিয়ার ছেলে), রমজান (খলিল মিয়ার ছেলে), বাকি চারজনের নাম এখনো জানা যায়নি।

এক ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, চেয়ারম্যানকে জানাইছি। উনি বলেছেন বিচার করবেন। থানায় গেলে ঝামেলা হবে, মেয়ের ভবিষ্যৎ নষ্ট হবে। চেয়ারম্যান বলেছেন বিচার করে দিবেন।

অপর ভুক্তভোগীর বাবা বলেন, রাতে বাড়ি ফিরে ঘটনা শুনেই আমি অজ্ঞান হয়ে যাই। ধর্ষণকারীরা প্রভাবশালী। আমরা তাদের সঙ্গে পারবো না। তাছাড়া মেয়েকে ভবিষ্যতে বিয়ে দেয়ার বিষয়টি চিন্তা করে এলাকার চেয়ারম্যানের কাছে বিচার দিয়েছি। চেয়ারম্যান যে বিচার করবে আমি তাই মেনে নিবো। আমি গরীব মানুষ, দিন আনি দিন খাই, থানা পুলিশ করার মত সামর্থ্য আমার নেই।

এব্যাপারে চরআড়ালিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদা জামান সরকার বলেন, তারা আমাকে ঘটনাটি জানিয়েছে। আমি ঘটনা শুনেছি। সকল বিষয় চিন্তা করে আমি তদন্তের জন্য লোক পাঠিয়েছি। ঘটনার বিস্তারিত জেনে বিষয়টি নিয়ে এলাকার গন্যমান্যদের নিয়ে বিচারে বসবো।

ধর্ষণের ঘটনা গ্রাম আদালতে মীমাংসা যোগ্য কিনা এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো সদুত্তর না দিয়ে এড়িয়ে যান। এছাড়াও বিচারে বিলম্ব হলে ধর্ষণের আলামত নষ্ট হয়ে যাবে, তখন বিচার কীভাবে করবেন এ প্রশ্নের জবাবেও তিনি কোনো উত্তর দেননি।

এ ব্যাপারে রায়পুরা থানার ওসি আদিল মাহমুদ বলেন, ধর্ষণের ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত নই। তাছাড়া কেউ থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

আপন দেশ/এমবি

মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।

শেয়ার করুনঃ

সর্বশেষ

Advertisement

জনপ্রিয়