‘জমহালের ইজারাপ্রথা বাতিল ও বিকল্প ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভা
জলমহালের মালিকানা ধনিকশ্রেণির হাতে চলে গেছে বলে এ সংক্রান্ত অনুষ্ঠানে মন্তব্য করেছেন বক্তারা।
শনিবার (১১ জানুয়ারি) রাজধানীর প্রেস ইনস্টিটি অব বাংলাদেশ (পিআইবি) অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘জমহালের ইজারাপ্রথা বাতিল ও বিকল্প ব্যবস্থাপনা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তারা। এ সময় বক্তারা জলমহালের ইজারাপ্রথা বাতিল করে জেলেদের অধিকার মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণে বিকল্প ব্যবস্থাপনার সুপারিশ করেন।
জলমহাল প্রকৃত জেলেদের কাছে ফিরিয়ে দেয়ার আন্দোলনের অংশ হিসেবে এ আলোচনা সভার আয়োজন করে হাওর অঞ্চলবাসী ও রাষ্ট্রচিন্তা নামের সংগঠন।
হাওর অঞ্চলবাসীর প্রধান সমন্বয়ক ড. হালিম দাদ খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট হাসনাত কাইয়ূম। অন্যান্যের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন হাওর পরিবেশ বিশেষজ্ঞ এবং ভূতত্ত্ববিদ ও যুক্তরাষ্ট্রের পেনসিলভানিয়ার কমনওয়েলথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. খালেকুজ্জামান, মৎস্যবিজ্ঞানী ড. সৈয়দ আলী আজহার, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আবিদ হোসেন, বাংলাদেশ ভূমিহীন আন্দোলনের সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ নাসির, জেলে ফেডারেশনের নেতা হরিপদ দাস।
আরও পড়ুন<<>> ফুল-ফলের নার্সারীতে ভাগ্যবদল
হাসনাত কাইয়ূম বলেন, জলমহালের মুনাফাকেন্দ্রিক ইজারাপ্রথা প্রান্তিক জেলেদের জন্য উৎপাত হিসেবে হাজির হয়েছে। খোলা জলমহালকে বদ্ধ জলমহাল দেখিয়ে ইজারা দেয় জেলা প্রশাসন। এটা অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। জলমহাল জেলেদের ফিরিয়ে দিতে হবে।
ড. আলী আজহার বলেন, জেলে সমিতিতে বেশির ভাগই প্রকৃত জেলে নয়। ইজারা নেয়ার ক্ষেত্রে প্রকৃত জেলেরা অর্থনৈতিক সংকটের কারণে প্রতিযোগিতায় টিকতে পারে না। তাদের অধিকার নিশ্চিত করতে হলে এ সংক্রান্ত নীতিমালা পাল্টাতে হবে। মাছের বংশ বিস্তারে অভয়াশ্রম গড়ে তুলতে হবে।
ড. খালেকুজ্জামান বলেন, নদীকে খণ্ডিত করলে ইজারা দিতে ও পেতে সুবিধা। এটি একটি দুষ্ট চক্রের কৌশল। ইজারা প্রথা সংস্কার করে এ ধরনের দুর্বৃত্তায়ন বন্ধ করতে হবে।
আরও পড়ুন<<>> বনসাই শিল্পী লায়লার স্বপ্ন, শহরে থেকে গ্রাম ছোঁয়া
মৎস্যজীবী শুমারির দাবি জানিয়ে আবিদ হোসেন বলেন, সমস্ত ইজারা বাতিল করে জাতীয় সংগঠন গড়তে হবে যাতে সবাই কাজ পায়।
শেখ নাসির বলেন, ইজারা জেলে ও কৃষকের গলার কাটা। প্রকৃত জেলেদের তালিকা করে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দিতে হবে। মৎস্যজীবী সমবায় সমিতিকে শক্তিশালী করার আহবান জানান প্রকৌশলী ড. তোফায়েল আহমেদ এবং এ ধরনের উদ্যোগ বাস্তবায়নের জন্য আরও ওয়ার্কশপ করার আহবান জানান বাপা তিস্তা নদী রক্ষা কমিটির ফরিদুল ইসলাম।
এ ছাড়া ইজারাপ্রথা বাতিল করে বিকল্প ব্যবস্থাপনার জন্য বেশ কিছু সুপারিশ করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন রাষ্ট্রচিন্তা জার্নালের সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিশ^বিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক আর রাজী।
আপন দেশ/এবি
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।




































