ফাইল ছবি
ছোট্ট ও ছন্দময় একটি দোয়া। যে দোয়াটি পড়লে শয়তান মানুষকে ধোঁকা দিতে পারবে না বরং মানুষ সারাদিন শয়তানের অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা থেকে নিরাপদ থাকবে।
হাদিসের বর্ণনায় দোয়াটি হলো- أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
উচ্চারণ: ‘আউজুবিল্লাহিল আজিম ওয়া বিওয়াঝহিল কারিম ওয়া সুলত্বানিহিল কাদিমি মিনাশ শাইত্বানির রাজিম।’
অর্থ: ‘আমি মহান আল্লাহর কাছে; তার মহানুভব চেহারার কাছে; তার অনাদি-অনন্ত কর্তৃত্বের কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় চাই।’
হযরত হায়াওয়াহ ইবনু শুরায়িহ (রহ.) বলেন, আমি উক্ববাহ ইবনে মুসলিমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে বলি, আমি জানতে পারলাম যে, আপনার কাছে হযরত আবদুল্লাহ ইবনু আমর ইবনুল আস (রা.)-এর মাধ্যমে নবীজি (সা.) থেকে এই হাদিস বর্ণনা করা হয়েছে যে, নবীজি (সা.) মসজিদে প্রবেশের সময় বলতেন- أَعُوذُ بِاللهِ الْعَظِيمِ وَبِوَجْهِهِ الْكَرِيمِ وَسُلْطَانِهِ الْقَدِيمِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيمِ
‘আমি অতীব মর্যাদা ও চিরন্তন পরাক্রমশালীর অধিকারী মহান আল্লাহর কাছে বিতাড়িত শয়তান থেকে আশ্রয় প্রার্থনা করছি।
আরও পড়ুন<<>>সাহাবায়ে কেরামের সম্মান-মর্যাদা
হযরত উক্ববাহ (রা.) বললেন, এত টুকুই?
আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’
(এবার) হযরত উক্ববাহ (রা.) বললেন, কেউ এ দোয়া পড়লে শয়তান বলতে থাকে যে, এ লোকটি আমার (অনিষ্ট ও কুমন্ত্রণা) থেকে সারা দিনের জন্য বেঁচে গেল। (আবু দাউদ, নাসাঈ, ইবনে মাজাহ, দারেমি, মুসনাদে আহমাদ, বুখারি ও মসলিম)
মনে রাখা জরুরি
এ দোয়াটি শুধু মসজিদে প্রবেশের জন্য পড়ার দোয়াই নয় বরং সারাদিন শয়তানের আক্রমণ (অনিষ্টতা ও কুমন্ত্রণা) থেকে নিরাপদ থাকতে প্রতিদিন পড়া জরুরি। যদিও রাসুলুল্লাহ (সা.) মসজিতে প্রবেশ করতেই এ দোয়াটি পড়তেন। আর শয়তান সারা দিনের জন্য এ দোয়া পাঠকারী থেকে দূরে সরে যায়।
আপন দেশ/জেডআই
মন্তব্য করুন # খবরের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, আপন দেশ ডটকম- এর দায়ভার নেবে না।





































